বিশেষ সম্পাদকীয় »
দীর্ঘ একমাসের সিয়াম সাধনার পর, সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামসহ নানা জেলায় কর্মরত ও বসবাসরত জনগণ নিজেদের গ্রামের বাড়িতে যেতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। গতবছর দুই ঈদে বিধিনিষেধ থাকলেও নানা অপ্রচলিত কায়দায় মানুষজনকে নিজ নিজ এলাকায় ছুটে যেতে দেখা গেছে। আমাদের শঙ্কা, ঈদ উপলক্ষে জনগণের মাঝে করোনা যাতে মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে না পড়ে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদিও কিছু নিয়ম শিথিল করে বৃহস্পতিবার থেকে জেলার মধ্যে বাস চলবে। তবে বন্ধ থাকবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন। এছাড়া আগের মতো ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস যেহেতু একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়, সেজন্য গণপরিবহন বন্ধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকে জোর দেয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ আরোপ করার পর থেকে দৃশ্যমানভাবে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। যা বিধিনিষেধের প্রয়োজনীয়তাকে ইতিবাচকভাবে সামনে এনেছে। সেসময়ের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, তারপরেই সারাদেশে সংক্রমণের সংখ্যাও বেড়েছিল। এবছর ঈদের মধ্যে বিধিনিষেধ থাকবে, আন্তঃজেলা গণপরিবহন থাকবে না। এবারও গতবছরের মতো মানুষজন নানাভাবে চেষ্টা করবে গ্রামে ছুটে যেতে, হয়তো সঙ্গে করে নিয়ে যাবে করোনা জীবাণু।
গতবছর অক্টোবর থেকে এবছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনা মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে নতুন ধরণের অতি সংক্রামক করোনার ফলে সারাদেশে নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। সরকার যদিও ঈদে ছুটিতে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থল এলাকায় থাকতে বলেছে।এখন জনগণের দায়িত্ব নিজেদের কল্যাণে এই নিয়ম মেনে পুরোদেশকে করোনা মুক্ত রাখতে সাহায্য করা।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













