মুজতবা সউদ, ঢাকা »
মামা। এই সম্বোধনে, প্রায় সবাই ডাকতেন আজহারুল ইসলাম খান কে। চলচ্চিত্রের এই নিবেদিত প্রাণ মানুষটি সেই ১৯৬৪ সালে নির্মাণ শুরু হওয়া, সৈয়দ আওয়াল পরিচালিত ‘বালা’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তারপর আমৃত্যু বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
‘বালা’ মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে। তবে তার আগেই তিনি ছবির ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এমন গোছের চরিত্রে শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, টিভি নাটক এবং বিজ্ঞাপন চিত্রেও অভিনয় করে গেছেন আজীবন। ‘বালা’ ছবির নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় তিনি আরও কিছু ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন।

১৯৬৮ সালে তিনি নিজেই কাজী আজীজ’র সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনার পরিকল্পনা করেন। সে সময় ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখার সময়ই কাজী আজীজ লেখেন তাঁর সেই বিখ্যাত বাংলা গান, ‘চোখ যে মনের, কথা বলে’। ছবিটির নাম, ‘যে আগুনে পুড়ি’। আজীজ-আজহার পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো ১৯৭০ সালে।

চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সব সময়ই সাংগঠনিক ভাবে সক্রিয় থেকেছেন চলচ্চিত্র শিল্পে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতিসহ বিভিন্ন সময়ে নানান পদে থেকে কাজ করে গেছেন। কোন পদে না থাকলেও, সবসময়ই যারা নেতৃত্বে থেকেছেন তারা অভিভাবক জেনেই আজহারুল ইসলাম খানের পরামর্শ নিতেন।
১৯৩৫ সালের ৩ জানুয়ারি, ধামরাইয়ে জন্ম নেয়া, চলচ্চিত্রের এই নিবেদিত প্রাণ মানুষটি আজকের এই দিনে ২০০৯ সালের ৭ মে প্রয়াত হন। গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা তাঁর স্মৃতির প্রতি।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













