বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মোস্তফা নুর বিপ্লব। একজন মানবিক যোদ্ধা। তিনি গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরুর পর চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে দিনরাত নিরবচ্ছিন্নভাবে অসংখ্য করোনা রোগীকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছিলেন। কিন্তু এখন ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে তার নিজের জীবনই সংকটে।
মোস্তফা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নতুন ভবনের আইসিইউতে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১১ মে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৩ মে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। একইদিন তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন বিপ্লব। চিকিৎসকরা বলছেন, তার ফুসফুসের ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুত বড়ুয়া মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে মোস্তফা নুর বিপ্লবকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়া যখন ভীতিজাগানিয়া ব্যাপার ছিল, সেই সময়গুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ফিল্ড হাসপাতালে কাজ করেছিলেন বিপ্লব। এখন সে নিজেই আক্রান্ত, শ্বাসকষ্টে ভুগছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, তার অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে। ২০ লিটার অক্সিজেন যাচ্ছিল। সিটি স্ক্যান রিপোর্টে দেখলাম, তার ফুসফুসে ৩৩ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এছাড়া, গত ১৫ মে ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে মোস্তফা নুর বিপ্লবের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন।
৩২ বছর বয়সী বিপ্লব বলেন, ‘আল্লাহর কী ইচ্ছা, গতবছর আমি এই দিনে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আর এই বছর আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছি। এটাই আমার ভাগ্যে লেখা ছিল। সবাইকে একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। সবার জন্য আমি দোয়া করি। আমার জন্যও সবাই দোয়া করবেন- আমি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাই।’
বিপ্লব স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিনি নগরের আগ্রাবাদ দাইয়াপাড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ’আলোকবর্তিকার’ সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। বিপ্লব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নুরের ছেলে। এছাড়া প্রাক্তন কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানুর বড় বোনের ছেলে বিপ্লব।
বাংলাধারা/এফএস/এআর