২৪ অক্টোবর ২০২৫

মিরসরাইয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে গভীর রাতে খালের মাটি কেটে পুকুর ভরাট

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খালের মাটি কেটে নিজের পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে চার-পাঁচটি মিনিট্রাকের মাধ্যমে গভীর রাতে মাটি নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

মিরসরাই উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরৎ গ্রামের বামনসুন্দর খাল থেকে এভাবে রাতের অন্ধকারে মাটি পাচার করছেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম দিলীপ চন্দ্র দাশ। তিনি চরশরৎ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হওয়ার পর মাটির চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। ফসলি জমির মাটি কাটার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকায় সরকারি খাল ও পুকুর ও দিঘীর দিকে নজর পড়েছে প্রভাবশালীদের।

চরশরৎ গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ওই গ্রামের পূর্ব প্রান্তে বামুনসন্দর খালে গভীর রাতে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে দিলীপ চন্দ্র দাশ। ইতোমধ্যে খালের মাটি কেটে নিজের পুকুর ভরাট করেছেন তিনি। রাতে মাটি বহন করা ট্রাকের যাতায়াতের শব্দে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না গ্রামের মানুষ জন।

জরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬নং ইছাখালীর চরশরৎ গ্রামের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বামনসুন্দর খাল। খালটির পশ্চিম পাড়ে ৬-৭ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে ৬ নং ইছাখালীর চরশরৎ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিতাই চরণ দাশ বাংলাধারাকে বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ চন্দ্র দাশ খালের মাটি কেটে নিজের পুকুর ভরাট করার বিষয়টি জেনেছি।

৬ নং ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা বাংলাধারাকে বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এই এলাকায় মাটির চাহিদা ব্যাপক হারে দিন দিন বাড়ছে। দিনের বেলায় মাটি কাটতে না পেরে অনেকে রাতের আঁধারে ফসলি জমি থেকেও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে উপজেলা প্রশাসন বেশ কয়েকটি ট্রাক জব্ধ করেছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা করেছে।

তিনি আরও বলেন, খালের মাটি কাটার বিষয়টি আমি জেনেছি। ব্যস্ততার কারণে এখনও জায়গাটি পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে কে বা কারা করছে সে বিষয়ে খবরাখবর নিয়েছি। খালের মাটি সরকারি। সুতরাং সরকারি মাটি কাটা অন্যায়। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনকে সহযোগিতা করবো।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে দিলীপ চন্দ্র দাশ’র ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

মিরসরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাংলাধারাকে জানান, খালের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার অধিকার কারও নেই। এ বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন