২৪ অক্টোবর ২০২৫

১৫ দিনের মধ্যে খালের বাঁধ কেটে দিতে হবে, না হয় জলাবদ্ধতায় নগর ডুবে যাবে

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেঘাপ্রকল্পের কাজে দেওয়া বাঁধ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কেটে দিতে হবে। না হলে কিছু দিনের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া বর্ষাতে নগর জলাবদ্ধতায় ডুবে যাবে। যার নমুনা ঈদের দিনে এক ঘণ্টা বৃষ্টিতে টের পাওয়া গেছে।

রোববার (৩০ মে) টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নগরের প্রাকৃতিক খালগুলোর অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে এত বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। যদি প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর একটি সদিচ্ছার অপমৃত্যু হবে এবং টাকারও অপচয় হবে। তাই এ টাস্কফোর্স কমিটি এখন থেকে অন্তত ২ মাস পর সভায় মিলিত হতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিং করার দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যে সব স্লুইসগেট নির্মাণ করছে তা সম্পন্ন হয়ে গেলে পরিচালনার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হলে তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে তা পরিচালনা সম্ভব হবে বলে জানান।

তিনি এ টাস্কফোর্স কমিটিতে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে সংযুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কমিটির সদস্যসচিব ও চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, মো. মোরশেদ আলম, মোহাম্মদ শহীদুল আলম, হাজি নুরুল হক, মো. আব্দুল মান্নান, চসিক সচিব খালেদ মাহামুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান, সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি মামুনুল আহমেদ অনিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অয়ন কুমার ত্রিপুরা, ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক নিউটন দাশ বক্তব্য দেন। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রজেক্টরের মাধ্যেমে কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন