আনোয়ারা প্রতিনিধি »
আনোয়ারায় নির্মাণাধীন উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স কাম কমিউনিটি হলে উদ্বোধনের আগেই ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা পরিষদের মত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে এমন ঘটনা সর্বমহলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার আবুল বশর এই কমপ্লেক্স কাম কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজ করছেন।
জানা যায়, আনোয়ারার সংসদ সদস্য ও ভূমি মন্ত্রীর একক প্রচেষ্টায় একটি অত্যাধুনিক ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স কাম কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই দুটি বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী এক মাস পর এই দুটি বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
কিন্তু,উদ্বোধনের আগেই কমিউনিটি হলের বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণ কাজের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলা পরিষদের মত নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এমন নিম্নমানের কাজ হলে অন্যান্য স্থানে কাজের মান কেমন হবে এই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এদিকে এত বিপুল অংকের নির্মাণ কাজ যেই ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তিনি কাজ করেননি। ঠিকাদার আবুল বশর তার ভাই ঠিকাদার জসিমকে দিয়ে এই কাজটি করিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। মূল ঠিকাদার আবুল বশর প্রকল্প এলাকায় তেমন আসেন না।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার জসিম উদ্দিন প্রতিবেদনকে বলেন, ‘আপনি কি জানেন না কাজটি আমি করছি। আগে আমার বড় ভাইকে না জানিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন। আমার বড় ভাই আমাকে গালিগালাজ করছেন। এভাবে একটু আধটু ফাটল হবে। এখনো কাজ শেষ হয় নি। আমারা এটি মেরামত করে দেব।’
মূল ঠিকাদার আবুল বশর বলেন, ‘নির্মাণ শ্রমিকরা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেছেন। তাই এই মূহুর্তে কিছু করতে পারছিনা। শ্রমিকরা আসলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই আমরা এই দেয়াল ভেঙ্গে পুণরায় নতুন দেয়াল নির্মাণ করে দেব। আপনি তখন আসবেন। আপনাকে ঘুরে দেখাব।’
উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, ‘কাজটা এখনো শেষ হয়নি। এর আগে প্লাস্টার হয়তো ফাটল ধরেছে। আমি আগামীকাল অফিসে আসলে বিষয়টি দেখব।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদ বলেন, ‘কাজটি এলজিইডির মাধ্যমে করা হচ্ছে। এটি এলজিইডি প্রকৌশলী দেখভাল করছেন। এখনো ঠিকাদার কাজটি বুঝিয়ে দেননি। বিয়ষটি আমি খতিয়ে দেখব।’
বাংলাধারা/এফএস/এআর













