বাংলাধারা প্রতিবেদন »
আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরী গলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরীর বিভিন্ন খালে দেওয়া অস্থায়ী বাঁধ দ্রুত খুলে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। খালে দেওয়া বাঁধের কারণে ময়লা-আবর্জনা জমে খালগুলো একপ্রকার ভরে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচির অগ্রগতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন মেয়র রেজাউল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রথম ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
প্রথম ১০০ দিনে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে ৯০ ভাগ সাফল্যের দাবিও করেছেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘নাগরিক অসচেতনতার কারণে যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে বিভিন্ন খালের ভেতর বাঁধ দেওয়ায় মশার উৎপাত বেড়েছে। আর মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও নেই। ফলে মশক নিধনে শতভাগ সাফল্য আসেনি।’
মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। প্রথম ১০০ দিনে সার্বিক বিবেচনায় সড়ক সংস্কার কাজের সিংহভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলেও দাবি মেয়রের।
মেয়রের জন্য কোটি টাকা দামের নতুন গাড়ি কেনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়ি কিনতে রাজি ছিলাম না। কিন্তু এই গাড়ি নিয়ে চারবার পথে আটকে গেছি।’
দরপত্র দেওয়া হলেও এখনো গাড়ি কেনার অনুমতি দেননি তিনি, এমন দাবি মেয়রের। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করে এই পদে এসেছি। প্রয়োজনে ট্যাক্সি নিয়েও আসতে পারব। সমস্যা নেই।’-
সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের অতীতের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কেউ কেউ তথ্য-উপাত্তবিহীন ও ভিত্তিহীন বিভিন্ন অপপ্রচার করছে।’
এসময় মেয়র নগরীর উন্নয়নে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বৃদ্ধি ও উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনা।
সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসসহ বিভাগীয় প্রধানরা ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













