৩ নভেম্বর ২০২৫

সম্ভাবনাময় রাইড শেয়ারিং সেবা হোক ভোগান্তিহীন এবং ঝুঁকিমুক্ত (শেষ পর্ব)


শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »

সব ঝুঁকি কিংবা ভোগান্তি দূরীভূত হয়ে নগরীর পথে প্রান্তরে রাইড শেয়ারিং সেবাগুলো অব্যাহত থাকুক এমনটাই বলছেন অ্যাপ থেকে সেবা নেওয়া যাত্রীরা।

বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীটাকে কাজী নজরুলের সংকল্প কবিতার মতো করে সবাই যেন হাতের মুঠোয় পেতে চায়। তাইতো যত সহজ, ততই যেন কাল ক্ষেপন না হওয়া। যানজটের নগরীগুলোতে একসময় প্রধান বাহন ছিলো বাস, কালের পরিক্রমায় কতই না পরিবর্তন। রাইড শেয়ারিং সেবাকে স্বাধীন বাংলার অন্যতম বিপ্লব বলার পাশাপাশি সে পরিবর্তনের ফলও বলা যেতে পারে। ২০১৭ সালে রাইড শেয়ারিং সেবাগুলো মাত্র ১০ হাজার যাত্রী নিয়ে ইনকামের পথে হাঁটলেও সে পথটা কেবলই হয়েছে দীর্ঘ। বছর পেরিয়ে ২০১৮ সালে সে সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৫ লাখে।

এছাড়া ২০১৯ এর দিকে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর দেশে দুই হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। দেশের স্থিতিশীল এবং উন্নয়শীল অর্থনীতিতে এই বাজারের ভূমিকা সত্যিই অপরিসীম। এছাড়া রাইড শেয়ারিং সেবার মাধ্যমে দেশে এক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থানের কথা সরকার প্রধান দশম জাতীয় সংসদে অধিবেশনে নিজেই বলছেন।

বাইক চালিয়ে এই সেবার মাধ্যমে চলছে অনেক যুবকের জীবিকা। চট্টগ্রামে মহানগরে উবার রাইড শেয়ারিং করে পরিবারের হাল ধরেছেন শাহাদাত। করোনা কালে চাকরি হারিয়ে এখন বাইক চালিয়ে ইনকাম করাটা তার জীবিকার প্রধান অস্ত্র। এভাবে আরো বহু তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই রাইড শেয়ারিং সেবার মাধ্যমে।

২০১০ সালে দেশে মোটর সাইকেলের সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ১০ হাজার, ২০১৮ সালের এপ্রিলে সেটি বেড়ে হয় ৫ লাখে।

এই রাইডিং সেবাকে গুরুত্ব দিয়ে ভোগান্তি এবং ঝুঁকির বিষয়টিকে যদি বিবেচনায় আনা যায় তাহলে দেশের অর্থনীতিতে এই খাত থেকে আসা অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেশের অনেক শিক্ষিত বেকাররা এই রাইড শেয়ারিং সেবার সাথে যুক্ত, তেমনই এক উদাহরণ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব। পড়াশোনার ফাঁকে রাইড শেয়ারিং সেবা দিয়ে আয়কৃত অর্থ দিয়ে মাসের হাতখরচের পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার খরচও বহন করছে সে।

নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান বাংলধারাকে বলেন, ‘একটি মহানগরের যাতায়াত সু্বিধার্থে অবশ্যই রাইড শেয়ারিং সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই রাইড শেয়ারিং সেবার মানকে আরো উন্নত করতে স্ব-স্ব অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে তাগিদ দেন।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই রাইড শেয়ারিং সেবার সাথে যুক্ত প্রত্যেককেই ট্রাফিক আইন প্রশিক্ষণ এবং গাড়ির ফিটনেস বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে।’

প্রথম পর্ব – রাইড শেয়ারিং সেবায় চালকদের কমেছে আয়, বেড়েছে যাত্রীদের ঝুঁকি

দ্বিতীয় পর্ব – রাইড শেয়ারিং—বেড়েছে যাত্রী, চালকদের ভোগান্তি

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ