শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »
রাজস্ব আদায়ের খনি খ্যাত চট্টগ্রামের শুল্ক বিভাগগুলোতে আটকে আছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। চট্টগ্রামের তিনটি শুল্ক বিভাগে হাজার খানেক মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় এসব রাজস্ব সেখানে আটকা পড়েছে।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে অবস্থিত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কাস্টম এক্সাইজ, ভ্যাট কমিশনারেট এবং চট্টগ্রাম কাস্টম বন্ড কমিশনারেট দায়ের করেছে প্রায় ৯ হাজার ২’শ ৮৩ টি মামলা। যেগুলো নিষ্পত্তির অভাবে আটকে আছে ৪ হাজার ৭’শ কোটি ৯২ লক্ষ টাকারও বেশি রাজস্ব।
চট্টগ্রামের তিনটি শুল্ক বিভাগে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং সিএন্ডএফ এজেন্টগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, বন্ড সুবিধা নিয়ে জালিয়াতি, শুল্ক ফাঁকিসহ আরো নানাবিধ অপরাধের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট দিনের ভেতর জরিমানা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে থাকেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। যার ফলে বছরের পর বছর কেটে যায় মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে। এছাড়া মামলার রায় পছন্দ না হলে উচ্চ আদালতেও যেতে পারেন যে কেউ। এর ফলে বিলম্বিত হয় মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে। অনেক ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য।
জানা যায়, চট্টগ্রামের শুল্ক বিভাগগুলোতে আটকা পড়া মামলাগুলো রাজস্ব কর্মকর্তা, আপিল ট্রাইব্যুনাল, হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের কাছে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কয়েকজন রাজস্ব কর্মকর্তা বাংলাধারাকে জানান, নিষ্পত্তির সময় আদালত নির্দেশিত জরিমানা প্রদানে অনেক ব্যবসায়ী সময় দীর্ঘায়িত করে থাকেন। ফলে আইনি জটিলতা বাড়তে থাকায় নিষ্পত্তির বিষয়টিও বিলম্বিত হতে থাকে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম বাংলাধারাকে বলেন, আমরা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর চিঠি দিয়েছি।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে অনেকগুলো মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বাকি মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার আকবর হোসেন বলেন, অনেক সময় ভ্যাট কমিশনারেটের সিদ্ধান্তে অনেকে মেনে নেয় না। এর প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা শেষ পযর্ন্ত আপিল বিভাগে গিয়ে মামলার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করতে থাকেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













