১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

বন্দরনগরীতে লকডাউন শুধু গণপরিবহনে!

শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »

সরকার ঘোষিত ৩ দিন ব্যাপী সীমিত পরিসরে লকডাউনের প্রথম দিনে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অফিসগামী এবং কর্মস্থলগামী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে চরম আকারে।

সোমবার (২৮ জুলাই) নগরীর নাগরিক জীবনে প্রথম দিনের লকডাউনের প্রভাব শুধু মাত্র গণপরিবহনে যেন বিদ্যমান। যার ফলে মানুষের দুর্ভোগ এখন প্রকট। কর্মস্থলে যেতে পোহাতে হচ্ছে ক্লান্তি, অবসাদ।

সরজমিনে দেখা যায়, নগরীর আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, জামালখাঁন, আন্দরকিল্লাসহ বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ মোড়ে অপেক্ষারত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে যানবাহনের জন্য। নগরীর সড়ক জুড়ে শুধুমাত্র রিক্সার অত্যাধিক চাপ বাড়ায় অনেকেই দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে সে রিক্সাযোগে যাতায়াত করেছেন দূরপাল্লায়। এছাড়া রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর পদাচরণা ব্যাপকভাবে লক্ষনীয়। বাধ্য হয়ে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষও ব্যবহার করছেন রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো, আবার অনেকেই পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যস্থলে।

অনেক দোকানপাট, বিপণীবিতান, শপিংমল বন্ধ থাকলেও নগরীর পথে প্রান্তরে মানুষের আনাগোনা রয়েছে আগের মতো স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করেছেন না অধিকাংশ মানুষ। এইদিকে চট্টগ্রামে করোনার হার ২২ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে গিয়ে টোকা দিয়েছে।

ব্যস্ততম বন্দরনগরীর দুর্ভোগ পোহানো যাত্রীরা জানান, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনার প্রকোপ দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। ফলে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে পুরোপরি প্রভাব পড়ছে গণপরিবহনে। এতে কষ্টের সীমা নেই আমাদের।’

এমন ভোগান্তির কথা জানান মুরাদপুর এলাকার সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন মেট্রোপ্রভাতী যোগে অফিসে যাতায়াত করতাম। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি ভোগ করে রিক্সা এবং পায়ে হেঁটে অফিসে যেতে হচ্ছে’

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লাবিব মাহমুদ বাংলাধারাকে জানান, ‘লক ডাউনের কোনো সুফল জনগণ পাবে বলে মনে হচ্ছে না। কেননা অধিকাংশ মানুষ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এইদিকে আমাদের মতো কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগের কোনো কমতি নেই। লকডাউনের প্রভাব শুধুই গণপরিবহনে ‘

সেকান্তর নামে অন্য একজন দিনমজুর বাংলাধারাকে জানান, ‘নিয়মিত যা আয় তা দিয়ে চলে যায় আমার সংসার। কর্মস্থল দূরে হওয়ায় এবং ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় যেতে পারিনি কাজে।’

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ