২৪ অক্টোবর ২০২৫

বন্দরে কন্টেইনারের স্তুপে বেসরকারি আইসিডি’তে ভোগান্তির শেষ নেই

শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »

চট্টগ্রাম বন্দরের বেসরকারি আইসিডিতে ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। মালামাল খালাসে বেশী সময় লাগায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।রপ্তানীমুখী কন্টেইনারগুলোর স্তুপ জমে আছে বেসরকারি আইসিডিগুলোতে।

চট্টগ্রাম বন্দরের আওতাধীন বেসরকারি আইসিডির সংখ্যা ১৯ টি। যেখানে শতভাগ রপ্তানিমুখী কন্টেইনার রাখা হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৭ টি আমদানি পণ্যের কন্টেইনারও রাখা হয় সেখানে। তবে এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর মুখী অনেকগুলো জাহাজ করোনার কারণে আটকা পড়ে আছে। যেখানে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজারের উপরে টিইউএস কন্টেইনার। এসব কন্টেইনারের মাধ্যমে রপ্তানিপণ্যগুলো জাহাজিকরণ করা গেলে কিছুটা কমতো রপ্তানি পণ্যের স্তুপ। তবে অনেকগুলো অনুপযোগী কন্টেইনার খালি পড়ে আছে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোগুলোতে (আইসিডি)।

চট্টগ্রামের বেসরকারি ১৯ টি আইসিডিতে এখন পর্যন্ত কন্টেইনার খালি পড়ে আছে প্রায় ২৬ হাজারের উপরে। যেগুলোর অধিকাংশ ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের হওয়ায় রপ্তানি পণ্য ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়। অজানা কারণে বাকি প্রায় ১২ হাজার কন্টেইনারকেও রপ্তানীমুখী করা যাচ্ছে না। আর তাই বেসরকারি আইসিডিগুলোতে জমছে রপ্তানীমুখী কন্টেইনার স্তুপ।

এভাবে স্তুপ জমে থাকায় আইসিডিগুলোতে ভোগান্তি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সময় লাগছে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ দিনসহ মোট ৭ থেকে ৮দিন। দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ায় কন্টেইনারবাহী গাড়িগুলোকে দিতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। এছাড়া বন্দর থেকে বেসরকারি আইসিডিগুলোতে চার্জ অনেক বেশী বলে জানা যায়।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বাংলাধারাকে জানান, বেসরকারি আইসিডিতে শতভাগ রপ্তানিমুখী কন্টেইনার রাখা হয়। অনেকগুলো কন্টেইনারবাহী জাহাজ এশিয়া এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে করোনার কারণে আটকে থাকায় রপ্তানিক্ষেত্রে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এতে আইসিডিগুলোতে কন্টেইনার স্তুপ জমে থাকছে।

এইদিকে গত ২৯ জুন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের জন্য বিজিএমইএ সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল সাক্ষরিত চিঠি প্রদান করা হয়। যেখানে আইসিডি থেকে পণ্য খালাসের বিষয়ে নানা ভোগান্তির বিষয় উল্লেখ করা হয়।

জমে থাকা কন্টেইনার স্তুপ এবং ভোগান্তির বিষয়ে জানতে সরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব মো. রুহুল আমিন শিকদার বাংলাধারাকে বলেন, যেসব কন্টেইনারগুলো উপযুক্ত সেগুলো রপ্তানিমুখী করার প্রক্রিয়ায় আছে।

কন্টেইনার খালি পড়ে থাকার বিষয়ে তিনি জানান, কন্টেইনার তো খালি থাকবে, কারণ এগুলো ব্যবহারের রাস্তা নেই।

ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো বৈশ্বিক সমস্যা। এসব সমস্যা নিয়ে আমাদের পথ চলতে হবে। আমরা যেমন রাতারাতি করোনার সমস্যা ঠিক করতে পারবো না, তেমনি বৈশ্বিক এই সমস্যাগুলোরও সমাধান রাতরাতি হবে না।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন