বাংলাধারা ডেস্ক »
করোনা অতিমারির কারণে সি.এন.জি চালকরা কর্মহীন হয়ে কষ্টে আছেন। তাদের কষ্ট লাঘবে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসতে হবে এটাই মানবিকতা। প্রধানমন্ত্রী কর্মহীনদের জন্য যে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছেন তার যেন সঠিক ব্যবহার হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। লকডাউনে ভুক্তভোগীদের পাশে সরকার আছে এবং চসিকও পাশে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে টাইগার পাসস্থ চসিক বিন্নাঘাস প্রকল্প সংলগ্ন চত্ত্বরে করোনাকালে চট্টগ্রামের সমায়িক ক্ষতিগ্রস্থ সি.এন.জি ও অটো টেম্পো চালকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার (অর্থ সহায়তা) বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ অটোরিক্সা ও অটো টেম্পো শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মো. ওসমান গণির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, শ্রমিক নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, সুভাষ নাথ, মো. কাপ্তান, মো. জসিম, শাহ আলম প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সরকার লকডাউন আপাতত ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করেছে। এই শিথিলতা মানে বেপরোয়া হওয়া নয়। তিনি সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে অন্যের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান। কোরবানের সময় পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা এবং নগরীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে দৃঢ় ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গক্রমে জলাবদ্ধতা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দোষে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি দাবি করে বলেন, আমি সাধারণ মানুষের মেয়র, কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর নই। যে কোন অভিযোগ বা প্রয়োজন হলে নিঃশঙ্কোচে তা জানাবেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে। এ সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক ও সাবান বিতরণ করা হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













