২৪ অক্টোবর ২০২৫

রেলওয়ের জায়গায় বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন লুণ্ঠন বৃত্তির অপপ্রয়াস

বাংলাধারা ডেস্ক »

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন ও সুরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভায় ব্যক্তরা নয়নাভিরাম সি.আর.বি’র রেলওয়ের জায়গায় বে-সরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের পরিকল্পনা নগরীর প্রাকৃতিক নৈসর্গ ও সৌন্দর্যহানীর ফাঁস হিসেবে অবহিত করেছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট বক্ষ ব্যাধি ও ৫০ সাধারণ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে। এ হাসপাতালটিকে বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে গড়ে না তুলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের পায়তারা মেনে নেয়া যায় না।

সভায় বলা হয়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টার প্ল্যান ২০০৯ সালের অনুচ্ছেদ ডি.পি.এল-০৩ সিএইচ-০৩-০৮ তে বলা হয়েছে, সি.আর.বি’র ভু প্রাকৃতিক উন্মুক্ত স্থানকে কোনভাবে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না। ঐতিহাসিক স্থানের আশে পাশে যে সকল নতুন স্থাপনা করা হয়েছে সেগুলোকে অপসারণ করে পর্যটন বান্ধব করতে হবে। আশেপাশের বস্তি ও কাঁচা ঘরকে স্থানান্তর করতে হবে। বর্তমান অবস্থিত যে হাসপাতালটি আছে সেটির ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে কিন্তু কোন ধরণের সম্প্রসারণ করা যাবে না। বাণিজ্যিক ও আবাসিক কোন স্থাপনা করা যাবে না।

এরই আলোকে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মাস্টার প্ল্যানের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, মেয়র, চউক ও পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হবে।

সভায় আরো বলা হয়, হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় অনেক বড় বড় বে-সরকারি বিনিয়োগকারীকে নাম মাত্র মূল্যে জায়গা দিয়েছিলো সাধারণ মানুষের সুলভে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির শর্ত সাপেক্ষে। কিন্তু কার্যত দেখা গেছে হাসপাতালগুলো বাণিজ্যিক শ্রীবৃদ্ধির স্বার্থে ধনীক শ্রেণীর চিকিৎসা কেন্দ্র হলেও সাধারণের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির সুযোগ নেই। তাই সংগত কারণে প্রতিয়মান যে রেলওয়ে সি.আর.বি নান্দনিক স্থানে সেই ধরণের হাসপাতাল বানিয়ে স্বাস্থ্যসেবার নামে লুন্ঠনবৃত্তির আরেকটি স্থাপনা করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে টাইগার পাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সচিবের দপ্তরে পরিবেশ উন্নয়ন ও সুরক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে ও সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মো. মোবারেক আলী, মো. শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, ফেরদৌসি আকবর ও নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন