বাংলাধারা প্রতিবেদন»
আত্মহত্যা প্ররোচনার ষড়যন্ত্রমূলক মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে।
একই সঙ্গে যৌক্তিক কারণ না থাকায় খারিজ করা হয়েছে পুলিশ প্রতিবেদনের ওপর দেওয়া বাদী নুসরাত জাহান তানিয়ার নারাজির আবেদন।
ওই মামলায় গুলশান থানা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বুধবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাকিম রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু মামলার তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে গুলশান থানা পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে, এই প্রতিবেদন দীর্ঘ পর্যালোচনা করে গ্রহণ করা হলো। একই সঙ্গে যৌক্তিক কারণ না থাকায় বাদিনীর নারাজির আবেদন খারিজ করা হলো। আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
আদালতে পুলিশের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, মামলাটি তদন্তকালে সংগৃহীত প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ঘটনাস্থল ফ্ল্যাট মালিকসহ অন্য সাক্ষীদের জবানবন্দি নেন। এমনকি তদন্ত কর্মকর্তা মুনিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডে গিয়েও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসব তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিমের যাপিত জীবন সম্পর্কিত তথ্যাবলিও সংগ্রহ করেন। সার্বিক তদন্তে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার বাদী কর্তৃক ভিকটিমের আত্মহত্যায় সহায়তা বা প্ররোচনার অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ পাননি তদন্ত কর্মকর্তা। এমনকি বাদী নিজেও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। গোটা তদন্ত কার্যক্রম তদারক করেন পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর মহানগর হাকিম আদালতও সময় নিয়ে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেন। এরপর আসামিকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা বলেন, ‘এই আদেশের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো, মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য যাকে আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে তিনি আদতেই অভিযুক্ত নন এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার কোনো ঘটনা ঘটেনি।‘
প্রায় তিন মাস বিস্তৃত তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে বসুন্ধরা এমডির কোনো সম্পৃক্ততা না পেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালতও সময় নিয়ে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেন। এরপর আদেশ দেন।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













