২৯ অক্টোবর ২০২৫

নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি; দুই শিফটে পরীক্ষা

বাংলাধারা ডেস্ক »

আগামী নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি হয়ে গেছে, অন্যদিকে এইচএসসির প্রশ্নপত্র ছাপার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হবে ইংরেজি ‘জেড’ (Z) বর্ণের আকারে এক বেঞ্চে একজন করে বসিয়ে। সকাল-বিকেল দুই শিফটে এসব পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থমকে যাওয়ায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সংক্ষিপ্ত আকারে পরীক্ষা দুটি আয়োজনের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে কয়েক দফায় পেছানোর পর সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রেই গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাইয়ের সুযোগ বাড়ানো হবে। আগে ১০টি প্রশ্নের মধ্যে ৭-৮টির উত্তর দিতে হলেও এবার সেখানে চারটির উত্তর দিতে বলা হবে।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছর সংক্ষিপ্ত আকারে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কেন্দ্রের বেঞ্চগুলোতে ইংরেজি বর্ণ ‘জেড’ আকারে বসানো হবে পরীক্ষার্থীদের। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সবাইকে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে। প্রবেশের ফটকে রাখা হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব রেখে চালাতে হবে যাবতীয় কার্যক্রম।

এইচএসসির ফরম পূরণ শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় থাকলে যে কেন্দ্রে ৫০০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হতো, আবশ্যিক বিষয় না থাকায় সেই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে বড়জোর ১০০ জন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে কোনো সমস্যা হবে না।

অন্যদিকে ডিসেম্বরে এসএইচএসি ও সমমান পরীক্ষার আয়োজন করতে নির্বাচিত শিক্ষকদের মাধ্যমে নমুনা প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কাজ শেষ করা হয়েছে। এরপর লটারির মাধ্যমে কয়েকটি নির্বাচন করে সেগুলো ছাপাতে প্রেসে পাঠানো হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এবার এইচএসসিতে যদি কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত থাকে, তাহলে তাকে এই তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। রচনামূলক অংশে নম্বর থাকবে ৩৫ ও এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) থাকবে ১৫ নম্বরের।

তবে প্রশ্নপত্র এখন যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ থাকবে। আগে যেখানে ১০টি প্রশ্নের মধ্য থেকে আটটির উত্তর দিতে হতো, সেখানে এখন সেই ১০টি প্রশ্নই থাকবে। এর মধ্যে চারটির উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বেছে নেওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে। প্রতি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ৫০ নম্বরকে ১০০-তে রূপান্তর করে পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন