২৮ অক্টোবর ২০২৫

কেবল সচেতনতায় ঘুরে দাঁড়াবে পর্যটন শিল্পঃ পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি»

পর্যটন শিল্প বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারি অংশীজনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে আমাদের বেসরকারি অংশীজন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন। পর্যটন শিল্প ঘিরে যত বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে তত বেশি আমাদের দেশের যুবাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে আমাদের বেসরকারি অংশীজনদের সহায়তা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সবসময় আন্তরিক। দেশের জনগণের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বার্থে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকবো। চলমান সময়ে কেবল সচেতনতায় পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পর্যটনে কোভিড-১৯ সচেতনতামূলক র‌্যালী শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, করোনায় চরম সংকটে পড়েছিল কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। খুবই কঠিন সময় পার করেছে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত লাখো মানুষ। সবকিছু মাথায় রেখে খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটনের সব অনুষঙ্গ। শুধুমাত্র সচেতনতায় পারে এ শিল্পে যে ক্ষতি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে। করোনা নিয়ে সরকারী যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারলেও ঘুরে দাড়াবে পর্যটন শিল্প। 

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে আলাদা করে ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে কক্সবাজারে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজের উদ্বোধন হবে রবিবার। এটি পূর্ণতা পেলে বিশ্বের দরবারের নতুন করে আলোচিত হবে কক্সবাজারের নাম। সচেতনতামূলক র‌্যালীতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলামসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সংগঠনের নেতা-কর্মী ও হোটেল-মোটেল জোনের উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন