বাংলাধারা প্রতিবেদক»
শত দুর্ভোগ কাটিয়ে সদরঘাট ও মাঝিরঘাট সড়কের কাজ তিন মাস আগে শেষ হলেও এখনও সড়কের পাশে জমে আছে বালি। এই কারণে স্থানীয় জনজীবন হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকটা দুর্বিষহ।
নগরীর সদরঘাট নৌ-বন্দর থেকে রাজস্ব কর্মকর্তার (কোতোয়ালি সার্কেল) কার্যালয় পর্যন্ত সড়কের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে তিন মাস আগে। তবে এখনও বাকি আছে রাস্তার কাজ। কাজ শেষ না হওয়ার আগেই সড়কে জমে গিয়েছে প্রচুর পরিমাণ বালি। তার পাশাপাশি মাঝিরঘাট নদী থেকে বালু উত্তোলন করা ট্রাক চলার কারণে ট্রাকের বালিও পড়ছে রাস্তায়। সময় মতো জমে থাকা বালি অপসারণ না করার কারণে অনেকটা অদৃশ্য হয়ে গেছে পিচ ঢালা রাস্তা। যার ফলে যানচলাচলেও ঘটছে ব্যাঘাত।

স্থানিয় দোকানদার আবুল হাসেম বাংলাধারাকে বলে, ‘তিন মাসে মাত্র একবার এসেছে বালি পরিষ্কার করতে। তাও কাউন্সিলর এর কাছে অভিযোগ করার কারণে।’
সরেজমিনে দেখা গিয়েছে রাস্তার বালি উড়ার কারণে অনেকটা ধোঁয়াটে হোয়ে গেছে আশপাশ। রাস্তার পাশের গাছগুলোতেও বালির আস্তরণ দৃশ্যমান। বালির কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। বালির কারণে নিয়মিত দোকানীরা নিজ উদ্যোগে রাস্তায় পানি দিচ্ছেন।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, রাস্তার কাজ শেষ হবার পর সিটি কর্পোরেশনের পরিষ্কার করার মানুষ এসেছিল মাত্র একবার। মাঝিরঘাটে নদী থেকে উত্তোলন করা মাটি ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে পড়ে জমা থাকছে মাটি। এবং বৃষ্টির সময় সড়কটি হয়ে পড়ছে চলাচলের অযোগ্য।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে একটি এই স্ট্র্যান্ড সড়ক। এই সড়কে অবস্থিত রয়েছে বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন’র পদ্মা ওয়েল কোম্পানি, বাংলাদেশ রাজস্ব কর্মকর্তারা কার্যালয়সহ নৌ পুলিশ সুপার এর কার্যালয়।

মাঝিরঘাট দিয়ে প্রতিদিন নদী পাড়াপাড় হচ্ছে শত শত মানুষ। নদী পাড়াপাড় হওয়ার আগে যাত্রীদের বাতাসে উড়ন্ত বালিতে স্নান করে উঠতে হয় নৌকায়।
সড়কটির অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ৩০ নং পূর্ব মাদারবাড়ী কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী বাংলাধারাকে বলে, ‘স্ট্র্যান্ড রোড এর কাজ শেষ না হওয়ার আগেই ঠিকাদার করোনার কারণে মারা যায়। তাই কাজ আপাতত বন্ধ। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে আমরা বালি পরিষ্কার করে ফেলবো।’
তবে, রাস্তার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থা এমন থাকবে এই প্রশ্নের করা হলে তিনি বলেন, ‘রাস্তার কাজ শেষ না হলে সিটি কর্পোরেশন কী করবে! কর্পোরেশন তো প্রতিদিন গিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করবে না।’

সড়কের বেশিরভাগ অংশে ছিল খানাখন্দে ভরা। গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ভাঙা সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল চরম পর্যায়ে। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির কারণে কাদায় ভরে যাচ্ছিল সড়ক।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













