২৮ অক্টোবর ২০২৫

গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা এখন জাতীয় সম্পদ : নওফেল

বাংলাধারা প্রতিবেদন :::

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শ্রমিক সাম্যের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পথ দেখিয়েছিলেন। এ কারণেই তিনি শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বঙ্গন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনে শ্রমিক শ্রেণি রক্ত দিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিক বান্ধব এবং তিনি গামেন্টস্ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট। তিনি এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গার্মেন্টস্ পণ্যের ন্যায্য দাম আদায়ে জোরালো দরকষাকষি করে এই শিল্পের সুরক্ষা দিয়েছেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম গার্মেন্টস্ শ্রমিক ফেডারেশন সম্মিলিত পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস পালনোপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালে জীবন-জীবিকার চাকাকে সচল রাখতে গার্মেন্টস্ শিল্পখাতে বড় অংকের প্রনোদনা দিয়েছেন বলে এই শিল্প ঘুরে দাঁড়তে পেরেছে। এ কারণে অনেক উন্নত দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তিনি গার্মেন্টস্ শিল্প মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই খাতে প্রণোদনা দিয়েছেন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা চলমান রাখার জন্য। দুঃখের বিষয় এখনো লক্ষ্য করা যায় যে, কোন-কোন গার্মেন্টস্ েবেতন-ভাতার জন্য শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ করতে। তাই আমি গার্মেন্টস্ মালিকদের সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই, শ্রমিকদের রক্ত ঘামে আপনারা দামী দামী গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। আপনাদের অর্থবিত্তের পাহাড় হওয়ার পরও শ্রমিকদের ন্যার্য পওনা যদি দেওয় না হয়। তাহলে তার পরিণতি শুভ হবে না। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, রানা প্লাজার মত মর্মান্তিক ট্র্যজিডি বাংলাদেশে গার্মেন্টস্ শিল্প খাতকে বিদেশী ক্রেতাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনভাবেই যাতে না হয়। তিনি শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পকেট ভর্তির জন্য শ্রমিক রাজনীতি করবেন না। যদি তা করেন তাহলে আপনারা মুনাফেক। কোন মুনাফেককে সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করবেন না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের শ্রমে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে এবং তারা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম প্রধান সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। করোনা অতিমহামারিকালে গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়েছিলেন এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও রপ্তানি নির্ভর এই শিল্পের চাকা সচল রেখেছেন। এই মহতি অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শিল্পের শ্রমিক ও মালিদের প্রনোদনা প্রদান করেছিলেন বলে। তিনি আরো বলেন, প্রধনমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দরিদ্র দেশ নয়, বিশ^ সভায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রোল মডেল। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এখন জাতির সম্পদ। এক সময় জুটমিল শ্রমিকরা জাতির সম্পদ থাকলেও সেই সোনালী দিন আজ আর নেই। সেই স্থানে উপনীত হয়েছেন গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা। তাই আপনাদের স্বার্থকে মালিকদের প্রাধান্য দিতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারতো প্রাধান্য দিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম গার্মেন্টস্ শ্রমিক ফেডারেশন সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি শেখ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও ভারপাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান, মাহফুজুর রহমান খান, রফিকুল আলম সাচ্চু, জালাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, দীলিপ কুমার নাথ, বেগম নাসরিন, বাপ্পি দেব বর্মন, ফয়েজ আহমদ, নমিতা নাথ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন