বাংলাধারা প্রতিবেদন»
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরবাসীর প্রত্যাহিক জীবনাচরণে আইন ও নিয়ম মেনে চলাকে অভ্যাসে পরিণত করা ছাড়া নগর কখনো ক্লিন, স্মার্ট ও জনবান্ধব হতে পারে না। একটি সাধারণ জনগোষ্ঠিকে এই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা পালনে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষকে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সেভ দ্যা চিলড্রেন’ ও ‘ইপসা’র উদ্যোগে পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাইলট প্রকল্প ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মেয়র এ্যাওয়ার্ড সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
চসিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে ও বর্জ্য স্ট্যন্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেইভ দ্যা চিলড্রেনের পরিচালক মোস্তাক হোসেন, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, প্রয়াসের সমন্বয়কারী সানজিদা আখতার, ‘সেইভ দ্যা চিলড্রেনের’ ম্যানেজার সায়মন রহমান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন, বস্তিউন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন জয়, প্রজেকশন উপস্থাপন করেন সেইভ দ্যা চিলড্রেনের ওবায়েদুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কখনো নাগরিক সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন ছাড়া সফল হতে পারে না। মান্ধাতার আমলের চিন্তা-ভাবনা পরিহার এবং আত্মস্বার্থ মূলক প্রবণতা পরিত্যাগ করে সমাজের সার্বিক মঙ্গলের বিষয়টি আমলে এনে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের তরে এবং সকলে সকলের তরে এই বোধকে জাগ্রত করতে হবে। উন্নত বিশে^ এই বোধ সদা জাগ্রত থাকায় সেখানকার নগরগুলো সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও নাগরিক বান্ধব। তাই আমরা যারা নগরে বসবাসকারী তারা খেয়াল-খুশীমত আচরণ করতে পারিনা। নগরে বাস করতে হলে কিছু আইন, নিয়ম ও শৃঙ্খলা মানতই হবে। তা না হলে আমরা কিছুতেই যোগ্য নাগরিক নই।
তিনি উল্লেখ করেন পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে নবীনগরকে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সেখানকার আশিটি বাড়ির তিনশ পরিবারের জন্য ঢাকনাযুক্ত বর্জ্য অপসারণ বীন স্থাপন করা হবে। এই বর্জ্য থেকে উৎপাদনশীল খাত চিহ্নিত করা হবে। বর্জ্য পলিথিন মুড়িয়ে ভ্যানের মাধ্যমে অপসারণের ব্যবস্থা রাখা হবে। বর্জ্যও সম্পদ তা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে চাই। তিনি মেয়র এ্যাওয়ার্ড চালু রাখার কথাও ঘোষণা দেন।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, মেয়র এ্যাওয়ার্ড ঘোষণাটি তখনেই ফলদায়ক হবে যখন মানুষ স্বেচ্ছাপ্রনোদিত ভাবে সচেতন হয়ে নিজের আঙ্গিনা নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













