২৪ অক্টোবর ২০২৫

যানজট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ সময়ের দাবীঃ মেয়র

বাংলাধারা প্রতিনিধি»

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীতে যানজটকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এই সমস্যাটি অসহিষ্ণু মাত্রায় পৌঁছেছে এবং এর ফলে কর্মব্যস্ত নাগরিক সমাজের মূল্যবান কর্মঘন্টার অপচয় হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ছে। তাই এই সমস্যার সমাধানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের ট্রাফিক বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবী।

বুধবার সকালে তাঁর অফিস কক্ষে এডিশনাল কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে একথা বলেন।

এ সময় শ্যামল কুমার নাথ মেয়রকে অভিহিত করেন যে, নগরীতে এখন সাড়ে ৩ লাখ যান্ত্রিক গাড়ি ও প্রায় ৩ লাখ রিক্সা চলাচল করে এর মধ্যে মাত্র ৭০ হাজার রিক্সা বৈধ। এছাড়া নগরীর অধিকাংশ ফুটপাত অবৈধ দখলদারের হাতে চলে যাওয়াটা ও নগরীর প্রবেশমূখে কন্টেইনার ডিপো স্থাপনও যানজটের বড় কারণ।

মেয়র বলেন, পর্যায়ক্রমে অবৈধ রিক্সা অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে। এখন থেকে রিক্সার বারকোড প্রদান করবে চসিক, সিএনজি বারকোড ব্যবস্থা করবে সিএমপি এবং ফুটপাতে টাইলস্ স্থাপন করে ফেন্সিং রেলিংয়ের মাধ্যমে সাজানো হবে। এতে ফুটপাতের উপর দোকান বসলে ক্রেতা সহজে বিক্রেতার নিকট পৌঁছাতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, নগরের ২০ মাইলের মধ্যে কোন ইনল্যান্ড বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো থাকার কথা নয়। কিন্তু নগরের ভেতর একাধিক বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো থাকায় নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে যানজট প্রকট আকার ধারণ করছে। এই ডিপোগুলো সরানোর জন্য বন্দরসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বয় করে তাদের নগরীর বাইরে স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান ফ্লাইওভারগুলোতে অপরাধ প্রবণতা দমনে চসিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামরার মাধ্যমে বিশেষ নজরদারী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও সহায়তা লাগবে। তিনি আরো জানান, নগরীতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পে-পাকিং ব্যবস্থাপনার প্রচলন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ডিসি ট্রাফিক তারেক আহমেদ, মহিউদ্দীন খান প্রমুখ।

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন