২৯ অক্টোবর ২০২৫

বরখাস্ত ওসি প্রদীপের ফাঁসীর দাবীতে কক্সবাজারে মানববন্ধন

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ সকল আসামির ফাঁসীর দাবিতে কক্সবাজারে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে টেকনাফ থানায় ওসি থাকা কালে প্রদীপের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিক কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজার বানীর সম্পাদক ফরিদুল মোস্তাফা খানসহ ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত টেকনাফ ও উখিয়ার বেশ কয়েকজন নির্যাতিত পরিবারের লোকজন অংশ নেন। 

সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা বলেন, ওসি প্রদীপের ইয়াবা কারবারসহ তার বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় ওসি প্রদীপ তার বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। শুধু তাই নয় তাকে ওসি প্রদীপ ঢাকা থেকে আটক করে থানায় এনে চরম নির্যাতন করে এবং প্রায় এক বছর তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা ওসি প্রদীপের ফাঁসী দাবী করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। 

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন