জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»
মেধাহীনরা দেশ ও রাষ্ট্রের কোন কাজে আসেনা উল্লেখ করে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাদের মেধা নেই, যারা লেখতে পড়তেও জানে না তারা যদি রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কোন একটা টেবিলে বসে তারা রাষ্ট্রের জন্য কি অবদান রাখবে? তারা দেশের কোন কাজে আসবে না। সে কারণে মেধাকে বিকশিত করতে আমাদের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা চেয়েছিলেন প্রশাসনিক একাডেমি নির্মাণ করতে। এ লক্ষ্যে মাত্র ৫০ একর জমির চাহিদা নিয়ে তারা মাননীয় প্রধামন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী তাদের (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) বলেছিলেন, মাত্র ৫০ একর জমি নিয়ে তোমরা কি করবা। সমগ্র বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেখানে ট্রেনিং নিবা। তোমাদেরকে পঞ্চাশ বা দুই শত একর নয়, ৭’শ একর জমি দিব’।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি আয়োজিত ‘কক্সবাজারের রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিদের’ সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ট্রাষ্ট্রি বোর্ড সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেছিলেন পাহাড়ের জায়গায় পাহাড়, টিলার জায়গায় টিলা, পাহাড়ের পাদদেশের স্থানে পাদদেশ থাকবে। কিন্তু কোন কিছুই হওয়ার আগে সেই ৭’শ একর জমি নিয়ে ‘বেলা’ ‘পরিবেশ’ এমন লাগা লাগছে হাইকোর্ট সেখানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের ফলে মাননীয় প্রধামন্ত্রী বলছেন ‘এদেশের জাতি যখন এটা চাই না, আমি কেন চাইবো। এটা আমার দরকার নেই।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হাইকোর্ট এখন দেশ চালায়। হাইকোর্ট ফাঁসিও দিতে পারে, যাবজ্জীবন দিতে পারে, একশ বছরও শাস্তি দিতে পারে। হাইকোর্টকে আমি স্যালুট করি। তারা দেশ চালাচ্ছে, রাষ্ট্র চালাচ্ছে। এখন বিষয়টা হচ্ছে, মেধাকে বিকশিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে যে চিন্তা করছিল সে চিন্তা মাটি হয়ে গেছে। এখানে আর প্রশাসনিক একাডেমি হচ্ছে না।
ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির সভাপতিত্বে ও ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিস্ট্রার কুতুব উদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মেয়র মুজিবুর রহমান, রাজা শাহ আলম চৌধুরী, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবচার, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক বাঁকখালী সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব প্রফেসর একেএম গিয়াস উদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারে উচ্চ শিক্ষার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। ব্যবসায়ীক মানসিকতা ফেলে যোগ্য লোক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মান রক্ষা পাবে। এজন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা দরকার। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগের প্রতি গুরুত্বারূপ করেন বক্তারা।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













