২৩ অক্টোবর ২০২৫

লাল-সবুজের বর্ণিল আলোয় সেজেছে বন্দর নগরী

ফাহিম আল সামাদ »

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণীল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম নগরী। প্রকৃতিতে শীতের আমেজে হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন সন্ধ্যায় নগরজুড়ে জ্বলছে লাল-সবুজ বাতি। বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে হরেক রঙের আলোকসজ্জার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি, জাতীয় পতাকা, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রতীকী।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। এই মোহনীয় সাজ নগরবাসীর মনে সৃষ্টি করেছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এ বছর পূর্ণ হবে বিজয়ের ৫০ বছর। বিজয়ের এ দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে চট্টগ্রাম নগরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আলোকসজ্জায় চট্টগ্রাম যেন একখণ্ড লাল সবুজের পতাকায় রূপ নিয়েছে। রাত পেরুলেই প্রথম প্রহরে শহীদ বেদী আর স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করবেন নগরবাসী। আর তাই নগরীর সব সরকারি স্থাপনা এখন বিজয়ের আলোয় ঝলমল করছে। সমস্ত নগরের পথে পথে উড়ছে বিজয় নিশান।

আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠলেই দেখা যাবে সড়কের ডিভাইডার ও ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হয়েছে বিজয় দিবসের লাল-সবুজ বাতি আর পতাকা। চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস, নিউমার্কেট, জামাল খানসহ বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো আলোকসজ্জা করা হয়েছে। লাল-সবুজ ছাড়াও নীল, সোনালী, সাদাসহ নানা রঙের আলোতে এ শহর নিজেই যেন বিজয়ের অসীম আনন্দ উদযাপন করছে।

বিজয় দিবসের পূর্ব মুহূর্তে চলছে পতাকা বিক্রির ধুম। লাল-সবুজের পতাকা কাঁধে নিয়ে হকাররা ঘুরছেন পথে। সাধারণ জনতা কিনছেন বড় সাইজের পতাকা, লাল-সবুজ ব্যান্ডেনা, ছোট সাইজের পতাকা।

বাঙালি জাতির কাছে ১৬ ডিসেম্বর মানেই বিজয়, ১৬ ডিসেম্বর মানেই এক নতুন স্বপ্ন। কারণ এই দিনেই এ দেশের বীর সন্তানদের কাছে মাথা নত করে বিদায় নেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। আর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের।

আরও পড়ুন