কক্সবাজার প্রতিনিধি »
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় কক্সবাজারের চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১১ আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে কক্সবাজারের এই দুই উপজেলার ৯ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন— চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কলিম উল্লাহ কলি, হাসানুল ইসলাম আদর, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন, জামাল হোসেন চৌধুরী, হারবাং ইউনিয়নের সৈয়দ নুর, জাহেদুল ইসলাম, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের কফিল উদ্দিন, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের নাছির উদ্দিন চৌধুরী, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের আবদুর রহমান বাহার, আমজাদ হোসেন খোকন ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের জাহেদ হোসেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, উক্ত ব্যক্তিগণ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করে যাচ্ছেন। তাদের বার বার নিষেধ করা সত্বেও তারা দলের বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারর জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবর সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিদ্রোহীদের বহিষ্কার করলেও স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা। কারণ, বহিষ্কৃতরা ভোট থেকে সরে না গিয়ে এখনো মাঠে রয়েছে। আবার দলের পদবী ধারী অনেক নেতা দলীয় প্রার্থী বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোয় নৌকার প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে চরম টেনশনে রয়েছে।
সূত্রমতে, চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনছুর আলম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী তার সহোদর নুরুল আমিনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী জামিল হোছাইন নৌকার বিপক্ষে গিয়ে তার ভাতিজা কলিম উল্লাহ কলির পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠে।
একইভাবে টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়ন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন, চকরিয়ার একাধিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীলগণ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে না গিয়ে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে মাঠে কাজ করেছেন এবং কাল ভোট গ্রহণ কালে তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করবেন। শুধু বিদ্রোহী প্রার্থীগণকে বহিষ্কার করা হলেও এসব নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় টেনশনেই রয়েছেন নৌকার সিংহভাগ প্রার্থী, এমনটি অভিমত সংশ্লিষ্টদের













