বাংলাধারা প্রতিবেদক »
দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তির প্রধান হাতিয়ার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর সবসময় গুরুত্ব পেয়েছে নানা ভাবে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে এই প্রধান সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে। চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ হ্যান্ডলিং বাড়ানোর লক্ষে কন্টিনার টার্মিনালসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণে চোখ রাখছে সরকার। তবে ২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা বন্দরের সক্ষমতা নিয়ে আছে নানা কথা।
চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১ সালে ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক কন্টেইনার উঠানামা করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ। তবে সাধারণ পণ্য পরিবহনে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ।তবে বন্দরের সক্ষমতা নিয়ে বারবার সংশয়ের কথা শুনা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০২৪ সালে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সক্ষমতা সংশয় নিয়ে বন্দরের প্রস্তুতি বা চলতি কার্যক্রম নিয়ে রয়েছে আলোচনা।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। চট্টগ্রাম বন্দরের ২০২৪ এর আগে নতুন করে যুক্ত হবে না কোনো টার্মিনাল-জেটি।চলতি বছরের যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে পতেঙ্গা টার্মিনালের। সেখানে সর্বোচ্চ ৪ লাখ একক কন্টেইনার উঠানামা সম্ভব। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াবে বে-টার্মিনাল, সেটি নির্মাণের কাজও বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে।
বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে বে-টার্মিনাল। নির্মাণে রহস্যজনক কারণে বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান কয়েকজন বন্দরব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম বন্দর সপ্তাহে ৭ দিন এবং ২৪ ঘন্টা সচল রয়েছে। এমনকি করোনা মহামারিতে লকাডউের সময় বন্দরের কার্যক্রম সবসময় সচল ছিল।
তিনি বলেন, ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ৫৮ শতাংশ রপ্তানি করতে হবে। শেষ অর্থবছরে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৯টি বেসরকারি আইসিডিগুলোতে রপ্তানি পণ্য থাকে শতভাগ। সেখানে প্রায় লেগে থাকে জট।এছাড়া ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনেও হিমশিম খেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। রপ্তানিমুখী পণ্যগুলো জাহাজীকরণেও হয় থাকে অনেক বিলম্ব। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাটা হবে অনেক চ্যালেঞ্জিং।
ওমর ফারুক আরও বলেন, বন্দরের সক্ষমতার বাড়ানোর লক্ষে বে-টার্মিনাল দ্রুত গতিতে শেষ করা হবে। এছাড়া তিনি বন্দরের সক্ষতায় বাড়ানোর লক্ষ্যে পতেঙ্গা টার্মিনাল চলতি বছর চালু হবে। বন্দর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি বিষয় আমাদের কাছে।













