২৫ অক্টোবর ২০২৫

যে ৪ অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি, এড়াতে যেসব পরামর্শ

বাংলাধারা ডেস্ক »

বর্তমানে গড়ে প্রতি চার জন ২৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে এক জন আক্রান্ত হন স্ট্রোকে। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অসংখ্য প্রাণ কেড়ে নেয় এই মারণ রোগ। তবুও অসচেতনতার শেষ নেই আমাদের। দেখে নিন কী কী অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি।

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আশি শতাংশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়ায় স্ট্রোকের আশঙ্কা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। যাঁরা আগে থেকেই ঝুঁকি সম্পন্ন, তাঁদের ডিমের কুসুম ও মাংস খাওয়া ছাড়তে হতে পারে।

অলসতা

শরীরচর্চার অভাব ও সারাদিন শুয়ে-বসে থাকা ডেকে আনে এই রোগ। অলস জীবনযাপনে বাড়ে ওজন, কমে পেশী ও হাড়ের সক্ষমতা। বিপাকের হারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

ধূমপান

ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যায় কমে। ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।

মদ্যপান

অতিরিক্ত মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।

তবে এই চারটি কারণ ছাড়াও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হল সচেতনতার অভাব ও নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করা।যাদের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা আছে, বা সংবহনতন্ত্রে রয়েছে কোনও গোলযোগ তাদের নিয়মিত শরীরের খেয়াল রাখা দরকার। অনেক ক্ষেত্রেই এই উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করাই ডেকে আনতে পারে মহা বিপদ।

স্ট্রোকের ঝুকি কমাতে বিশেষজ্ঞগণ যে সমস্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন :

  • সুস্থ থাকতে পুঁই শাক খেতে পারেন নিয়মিত। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি ও সি। এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে প্রায় ২০ শতাংশ।
  • গবেষণা মতে, প্রতিদিন ১.৫ গ্রাম পটাশিয়াম না খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ২৮ শতাংশ! স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে তাই প্রতিদিন কলা খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। এই ফলটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়।
  • খোসা ছাড়ানো আধা কাপ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ১.৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই আলু সুস্থতার জন্য জরুরি। স্ট্রোক থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত খেতে পারেন মিষ্টি আলু।
  • লো ফ্যাট মিল্ক রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে কমে স্ট্রোকের ঝুঁকি।
  • ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ার বিচি কমায় স্ট্রোকের ঝুঁকি।
  • সকালের নাস্তায় এক বাটি গরম ওটমিল কিন্তু রাখতেই পারেন। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। ফলে দূরে থাকা যায় স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে।
  • প্রতিদিন এক মুঠো আমন্ড খেলেও দূরে থাকতে পারবেন স্ট্রোকের ঝুঁকে থেকে।
  • সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন সপ্তাহে কয়েকদিন। এটি ৬ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

আরও পড়ুন