২৩ অক্টোবর ২০২৫

এমন ঘটনা আর চাই না !

সম্পাদকীয়»

দেশে বহুল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। হত্যার দায়ে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং ওই থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই মামলায় আরো কয়েকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কয়েকজনকে বেকসুর খালাসও দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ঘোষিত এই রায় হয়তো আরও আইনি লড়াইয়ের পদক্ষেপ পার হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে, তারপরেও বর্তমানে এ রায় যুগান্তকারী।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই দিবাগত রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপরে সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তার পক্ষে দেশবাসীর সহমর্মিতা ও সাবেক সেনা কমিউনিটির ক্ষোভসহ নানা ঘটনাবহুল সময় দেখেছে দেশবাসী। সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের সরাসরি হস্তক্ষেপে যে কোন নেতিবাচক পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে সফলতার সঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কোনো বিপথগামী সদস্যের দ্বারা বিচার বর্হিভূত হত্যার বিষয়টি দেশে ও বিদেশে নানা মাত্রায় আলোচিত-সমালোচিত। মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমও সোচ্চার এইধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষাপটে মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় একটি ইতিবাচক মাইলফলক, এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তথা পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতেও একটি সতর্কতামূলক শিক্ষা বলে আমরা মনে করি।

আরও পড়ুন