বান্দরবান প্রতিনিধি »
গেল বুধবার বান্দরবানে সেনা ও সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে নিহত সন্ত্রাসীদের কোন পরিচয় খুঁজে না পাওয়ার কারণে লাশগুলোকে বেওয়ারিশভাবে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিহত তিন ব্যক্তির লাশ বান্দরবান কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ শ্মশানে দাফন করা হয়ছে বলে নিশ্চিত করেন বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুদ্দুছ ফরাজী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে নিহত হওয়া তিন সন্ত্রাসীর কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং পরিবার পক্ষ থেকে নিহত লাশগুলোকে সনাক্ত না হওয়ার কারণে বেওয়ারিশভাবে রাখা হয়। পরে রুমা সদর থানায় এস আই সমীর মজুনদার নেতৃত্বে লাশ তিনটি পৌরসভা হতে অনুমতিক্রমে বেওয়ারিশভাবে বান্দরবান বৌদ্ধ শ্মশানে সন্ধ্যায় দাফন করা হয়।
বান্দরবানের বৌদ্ধ শ্মশানে দ্বায়িত্বরত জালাল মাঝি জানান, আজ বিকালে সাড়ে ৫টায় লাশগুলো দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুমা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুদ্দুছ ফরাজী জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মর্গে তিন জনের লাশ রাখা হয়। এতে কোন আআত্মীয় স্বজন যোগাযোগ কিংবা কারো নাম ঠিকানা তথ্য মেলেনি। পরে পৌরসভা থেকে অনুমতিক্রমে তিনজনকে বেওয়ারিশভাবে বান্দরবান বৌদ্ধ শ্মশানে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ১০টায় বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দল বথিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে পরোক্ষভাবে গুলিবর্ষণ হয়। এতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী সিনিয়র ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ তিন সন্ত্রাসীর ঘটনাস্থলে মারা যায়। এতে সেনা সদস্য ফিরোজ পায়ে গুলি লেগে আহত হন।













