বাংলাধারা প্রতিবেদক»
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে অস্থায়ী গেটকিপার পদে নিয়োগ নিয়ে শুরু হয়েছে অবৈধ লেনদেন ও তদ্বির বাণিজ্য। করোনার কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নড়ে চড়ে বসেছে অসাধু রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কুলষিত করতে খোদ রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মেতে উঠেছে তালিকা নিয়ে। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য রেলমন্ত্রী ও ডিরেক্টর জেনারেল পর্যন্ত নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর তালিকা প্রেরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকাস্থ রেল ভবন থেকে। ইত্যেমধ্যে অসাধু রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রেল কেন্দ্রিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এদিকে সাধারণ ও পোষ্যকোটায় চাকুরী প্রার্থীরা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে অস্থায়ী গেটকিপার নামের সোনার হরিণকে।
রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর আগে অস্থায়ী ৭০টি গেট কিপার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। করোনা পেন্ডামিকের কারনে পিছিয়ে গেছে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া। চলতি মাস থেকে আবারো এ নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর করতে কয়েক দফায় মিটিংও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারন নানা নামে তালিকা আসছে রেল ভবনে।
অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কুলষিত করতে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, ট্রেন কন্ট্রোলার/সিআরবি সহ বেশ কয়েক কর্মকর্তা কর্মচারীর নাম উঠে এসেছে। ২/৩ লাখ টাকা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ৭০ জন গেটকিপারের চাকরী নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এসব কর্মকর্তার অবৈধ তৎপরতা বন্ধ করা না গেলে ২০১২ সালের ন্যায় রেলে আবারো কালো বিড়ালের সন্ধান মিলতে পারে।
এই তালিকায় রয়েছে, রেল ভবনে থাকা সরদার সাহদাত আলির ২৪ জন, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনছার আলীর ৫জন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ইমরান মোহাম্মদ তারেকের ৭জন, ট্রেন কন্ট্রোলার সাঈদ খোকনের আর্শিবাদপুষ্ট ৪৫ জন, কসবা স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সমর কুমারও অবৈধভাবে ৯ জনের তালিকা দিয়েছেন। পিছিয়ে নেই সহকারী পরিবহন কর্মকতা/পূর্ব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি ৩ জনের নামের তালিকা পাঠিয়েছেন মহাপরিচালকের দফতরে। তবে রেলকে কুলষিত করার অপপ্রয়াসে থাকা এসব অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে রেলের পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা বলেন, চার বছর আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর করছে নিয়োগ কমিটি। অবৈধ অর্থ লেনদেনে নিয়োগ নিশ্চিতের বিষয়টি কার্যকর হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সাধারন ও পোষ্য কোটার প্রার্থীরা। তবে তালিকা প্রেরণের মাধ্যমে যারা নিজেদের পকেট পুরানোর চিন্তা ভাবনা করেছে তারা রেলকে কুলষিত কারার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।













