৯ ডিসেম্বর ২০২৫

মহিউদ্দিন চৌধুরীকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র চট্টলবীর এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি টানেল নির্মাণ হোক এটি মহিউদ্দিন চৌধুরী চেয়েছিলেন। তার এটা দাবিও ছিল। এ টানেলের কাজ প্রায় এখন সমাপ্তির পথে। দুর্ভাগ্য, তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। বাংলাদেশে যতগুলো সিটি করপোরেশন করা হয়েছে, এর মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে ছিল অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।’

রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকোশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক দেশ পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যদি আমরা তুলনা করি, তাহলে আমরা দেখি অর্থনৈতিক সকল প্যারামিটারে আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে আছি। এভাবে চলতে থাকলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত বাংলাদেশ হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নগর বা জেলা। চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোন হচ্ছে। যেখানে হাজার হাজার মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। সে প্রজেক্টগুলো বস্তবায়নের জন্য কি কি প্রয়োজন সেগুলোর সবকিছু নিয়ে সমন্বিত প্রজেক্ট করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন দেশের অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করছেন। এত বড় প্রকল্পে সুপেয় পানির যোগান দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে যদি পানির অনুবিধা হয়, তাহলে মেঘনা নদী থেকে পানি আনতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধু মিরসরাইয়ের জন্য না, আরও একশটি ইকোনমিক জোন করা হচ্ছে; সেগুলোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একসময় চট্টগ্রাম ডাস্টবিন ছিল। মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি উদাহরণ দেওয়ার মত নগরী সৃষ্টি করেন।

শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ ছাড়াও পানি শোধনাগার-১ ও শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতে ওয়াসার পানি সরবরাহে সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ কোটি লিটার।

প্রায় ৪ হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয় এ প্রকল্প। এর মধ্যে জাইকা ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ