২৫ অক্টোবর ২০২৫

‘মাদকসেবীদের পুনর্বাসন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ’

বাংলাধারা ডেস্ক »

‘মাদকাসক্তি একটা রোগ। ঘৃণা বা অবহেলা নয়, শুধুমাত্র ভালোবাসা ও সুচিকিৎসাই পারে মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সহায়তা করতে। মাদকাসক্তদের ঘৃণা না করে দরকার ভালোবাসা ও সুচিকিৎসা। মাদক থেকে ফিরে আসার একটাই পথ, তা হল পুর্নবাসন। মাদক প্রতিরোধে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। যথাযথ পারিবারিক গঠনই পারে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে। আর মাদক প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে পরিবার হতে শুরু করতে হবে। পরিবারের পাশাপাশি সমাজের ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মাদক প্রতিরোধ সম্ভব নয়।’

বুধবার (২৩ মার্চ) মাদক হতে সুস্থতাপ্রাপ্ত নারী-পুরুষদের (রিকভারি) অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের প্রকল্পের অবহিতকরণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান বিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশের ন্যায় মাদকবিরোধী বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে মাদক প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু প্রশাসন নয় সমাজের সকল স্তরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিবর্গকে মাদক প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকসেবীদের পুনর্বাসন অনেক চ্যালেঞ্জ কাজ। আমাদের একত্রিত হয়ে মাদক প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম, কারিতাস চট্টগ্রাম অঞ্চল কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মসূচি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কারিতাস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক মি. রিমি সুবাস দাশ। মাদক গ্রহণে শারীরিক-মানসিক প্রভাব ও আমাদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওসিসি’র ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজিস্ট মাহজাবিন বিনতে গাফফার।

মাদক প্রতিরোধে সরকারি- বেসরকারি সমন্বয় ও পুনর্বাসনে পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) চট্টমেট্টো উপ অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা তাহমিনা সানজিদা সাহিদ, বেসরকারি কারা পরিদর্শক ও নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু, আলো মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের কাউন্সিলর শাহজামান। পাওয়ার পয়েন্টে প্রকল্পের সচিত্র বর্ণনা দেন জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার দেবব্রত পাল।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি নোমানউল্লাহ বাহার, ব্লাস্ট, আশার আলো সোসাইটি, স্বপ্নিলসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিবর্গ। স্মাইল প্রকল্পের ইয়ুথ, কমিউনিটি টাস্ক ফোর্স, নেটওয়ার্কিং ফোরাম, টিচার্স ফোরাম, মিডিয়া প্রতিনিধি এবং রিহ্যাব সেন্টারের প্রতিনিধিসহ মোট ৭৭ জন উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত অতিথিবৃন্দ মাদক প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মাদক ও ঝুকিপূর্ণ পেশা হতে ফিরে আসা ১৩ জনকে প্রথম কিস্তিতে শর্তহীন ১০ হাজার টাকা করে আয়বৃদ্ধিমূলক কাজের জন্য পেশাভিত্তিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

ক্যাপশান
উপকরণ ও আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত রিকবারিদের সাথে অতিথিবৃন্দ

আরও পড়ুন