বাঁশখালী প্রতিনিধি »
বাঁশখালীর উপজেলার সরল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী লেয়াকত আলী তালুকদারের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতেই সরল ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে সরল ইউনিয়নের মিনজীরতলা এলাকায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী লেয়াকত আলী তালুকদারের নির্বাচনি প্রচারে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী লেয়াকত, আহমদুল্লাহ, মো. আমান উল্লাহ, মো. হাসান, আব্দুর রহিম এবং আব্দুস শুক্কুরসহ ৬ জন আহত হয়। ঘটনার পর আহতদের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রশিদ আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন ‘হামলার শিকার’ লেয়াকতের ছেলে আশির ইনতিশার মিশকাত বলেন, শুক্রবার বিকেলে বাবার নির্বাচনি প্রচার চলাকালে হাকিমিয়া মাদ্রাসার সামনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর একটি মোটরসাইল শোভাযাত্রা আসতে দেখা যায়। তখন আমরা এক পাশ দিয়ে তাদের যাওয়ার সুযোগ করে দিই। কিন্তু ওরা চলে গিয়ে পেছন থেকে এসে আমার বাবাকে মারধর করেছে। এসময় বাবাকে সেফ করতে যাওয়ায় আমাদেরও মারধর করে তারা। এতে আমাদের ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী রশিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমার একটি মিটিং ছিল। মিটিংয়ে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা রাস্তার একপাশ দিয়ে তাদের ক্রস করছি। তখন কিচ্ছু হয়নি। পুরে মিটিং থেকে ফিরে শুনি যে এই ঘটনা। এসব তো কিচ্ছু হয়নি আসলে। তাই এগুলো তো আমি জানি না।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দীন বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারে হামলার ঘটনায় প্রার্থীর ছেলে চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আমরা রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলেও জানান তিনি।