বাংলাধারা ডেস্ক »
কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে এক শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরের দিকে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- সুমন মিয়া (৭), মহিউদ্দিন (২২), রুবেল দাস (২৬) ও আসাদ মিয়া (৫২)। জানা যায়, মৃত সুমন মিয়া উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে। দুপুরে মিঠামইন উপজেলার কুড়ারকান্দি গ্রামের সুমন মিয়া হাওর থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যান। একই সঙ্গে তার সঙ্গে থাকা গরুটিও মারা যায়।
এদিকে, ইটনা উপজেলার কাঠুইর গ্রামের রুবেল দাস হাওরে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। তাকে ইটনা হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মিঠামইন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন মো. মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপরদিকে, ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জানান, মৃত রুবেল দাস উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে। ইটনার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে কৃষি কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রুবেল দাস মারা যান।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃত আসাদ মিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে। সে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি