spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
প্রচ্ছদলীডবিশ্বনবীর (দ.) শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

বিশ্বনবীর (দ.) শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

spot_img

সম্পাদকীয় »

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর জন্ম দিবস। দিনটি তাই সমগ্র মুসলিম জাহানের কাছে অত্যন্ত পবিত্র, গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত। ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ, মিলাদ শব্দের অর্থ জন্মদিন, আর নবী অর্থাৎ রাসুল (দ.), কাজেই ঈদে মিলাদুন্নবীর অর্থ হলো নবীর জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ ।

মুসলিমগণ বিশ্বাস করে রাসুল (দ.) কে উপলক্ষ করে আল্লাহপাক এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। ফলে তাঁর জন্মদিনই মানবজাতির জন্য এক বড় আনন্দের উপলক্ষ। রাসুল (দ.) এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট, রবিউল আউয়াল চাঁদের ১২ তারিখ, সোমবার। পৃথিবীতে তিনি শান্তির মহান ধর্ম ইসলাম প্রচার করে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে ওফাত লাভ করেন।

তিনি এমন একটি সময়ে আরবের বুকে জন্মলাভ করেছিলেন যখন পুরো আরবে ছিল অন্ধকারের যুগ। গোত্রে গোত্রে ছিল হানাহানি। ‘চোখের বদল চোখ’ এ নীতিতে সে সব হানাহানি বছরের পর বছর এমনকি বংশ পরম্পরা পর্যন্ত চলত। বৈষম্য, অর্থনৈতিক শোষণ আর নারী শিশুদের প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ বিদ্যমান ছিল সে সমাজে। জ্ঞান-বিজ্ঞানেও অনেক পিছিয়ে ছিল সে সময়ের মক্কা নগরী। কলহপ্রবণ আরবে তখন শৃঙ্খলাবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল না। তেমন একটি সমাজে জন্ম নিয়েও তিনি ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ব্যতিক্রম। মানবচরিত্রের প্রধান গুণ সত্যবাদিতা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম দিক যা তিনি অত্যন্ত ছোটবেলা থেকেই ধারণ করেছিলেন। যে কারণে অত্যন্ত কম বয়সেই তিনি সবার প্রিয় ও বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছিলেন এবং ‘আল আমিন’ অর্থাৎ বিশ্বাসী বলে উপাধি অর্জন করেছিলেন।

তিনি যে ধর্ম প্রচার করেছিলেন তার নাম হলো ইসলাম, যার অর্থ শান্তি। তিনি তাঁর প্রচারিত ধর্মের মাধ্যমে অশান্তিময় আরবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক সাম্যের সমাজ গড়ে তুলেছিলেন। ইসলাম বিশ্বের প্রথম ধর্ম যেখানে প্রত্যেক মানুষকে সমান গুরুত্ব ও সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। নারীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এবং নারীদের অধিকার সুরক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। সমাজে অতি ধনী হওয়ার প্রবণতাকে রুদ্ধ করতে যাকাতের মতো নিয়মের প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। একই কাতারে নামাজ আদায় এবং একই আসনে ইফতারের আয়োজনের মতো সমতাভিত্তিক ধর্মীয় আচার তিনিই প্রথম প্রবর্তন করেছিলেন।

আজ সংঘাতময় বিশ্বে নবী করিম (দ.) এর জীবনাদর্শ বেশি বেশি ধারণ ও চর্চা করা প্রয়োজন । তিনি যে শান্তির বাণী প্রচার করেছিলেন, তিনি যে বৈষম্যহীন, শোষণহীন সাম্যের পৃথিবী প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন তা আমাদের অনুসরণ করতে হবে। ধারণ করতে হবে তাঁর সামগ্রিক আদর্শকে। তবেই আমাদের মুক্তি। তবেই সার্থক হবে মিলাদুন্নবী (দ.)।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ