বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর জিইসি এলাকায় বাসমতি রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে বিপুল পরিমান রান্না করা মাছ, মাংস. গরু-মুরগীর কাঁচা মাংস ও বাটা মশলার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিম।
এছাড়া জামান রেস্টুরেন্ট মেজবানি এন্ড কাবাব কে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, ফ্রিজে বাসী খাবার ও কাচা মাংস রাখার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) পরিচলিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তাহমিলুর রহমান এবং কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম।
তৌহিদুল ইসলাম বাংলাধারাকে জানান, বাসমতি হোটেলে প্রবেশ করতেই দেখা যায় ভবনের নীচ তলায় রমজান উপলক্ষে আলাদা একটি জায়গা তৈরি করে রাখা হয়েছে যেখানে সারি সারি ফ্রিজ-রেফ্রিজারেটর। ফ্রিজ খুলতেই দেখা গেল পুরনো বাসী খাবার সাথে রাখা আছে গরু-মুরগীর কাঁচা মাংস, আছে বাটা মশলা। বাসমতি রেস্টুরেন্টে সারি সারি ফ্রিজে স্টক করা আছে বিপুল পরিমাণ রান্না করা মাংস ও অন্যান্য খাবার। প্রতিদিন ভোক্তাদের নিকট এসব মাংসই গরম করে বিক্রি করা হয় ও পরিবেশন করা হয়। এরপর দেখা যায়, ফ্রিজে বিপুল পরিমাণ ডাল্ডা।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এবং আইনে প্রণিত বিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে রান্না করা খাবার এবং কাঁচা-মাংস, মশলা এসব একসাথে রাখা যাবে না। বাসমতি রেস্টুরেন্টের সামনে দোকানের বিক্রেতারা উচ্চ স্বরে ক্রেতাদের ডাকছেন ঘি-তে ভাজা জিলাপি ক্রয়ের জন্য। কিন্তু বাসমতি রেস্টুরেন্ট ভবনের গ্যারেজের ফ্রিজে পাওয়া গেল ডালডার পসরা। বাসমতি রেস্টুরেন্ট কে এসব অপরাধ আমলে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া জামান রেস্টুরেন্ট মেজবানি এন্ড কাবাব কে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, ফ্রিজে বাসী খাবার ও কাচা মাংস রাখার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, গত বছর রমজানেও বাসমতি রেস্টুরেন্টকে এক অভিযানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তাই একই ধরণের অপরাধ পুনরাবৃত্তির দায়ে এবার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের অপরাধ পুনরাবৃত্তি ঘটলে হোটেলের লাইসেন্স বাতিল সহ কঠোর শাস্তি আরোপ করা হবে এই মর্মে হোটেল ম্যানেজার দিলীপ এস রোজারিও মুচলেকা দিয়েছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর