বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ক্রিকেট তারকা ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘অশ্লীল-অশ্রাব্য’ ভাষায় চিকিৎসকদের বক্তব্য দেয়াকে অগ্রহণযোগ্য ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাশরাফি একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। ওনার মতো মানুষ যদি কোনো একটা কথা বলেই ফেলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে তার প্রতিবাদ কি আমি ফেসবুকে করব? নিশ্চয় একজন চিকিৎসক এভাবে প্রতিবাদ করবে না। চিকিৎসকরা সেবা দেওয়ার মানুষ। সেবা দিতে গিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আক্রমণ করা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, যেসব চিকিৎসক এটা করেছেন তাদের শোকজ করা হয়েছে। এটার সমাধান আমরা অবশ্যই করব। তবে সমাধান মানে এই নয় যে, ঢালাওভাবে চিকিৎসকদের শাস্তি দেবো।
ফেসবুকে চিকিৎসকদের লেখালেখির প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে একজন চিকিৎসকের অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের সংশোধন হতে হবে, সতর্ক হতে হবে। কারণ তারা তো সবচেয়ে মেধাবী, তাদের কাছে তো জাতির প্রত্যাশা অনেক। তাদের কাছ থেকে তো আমরা আরও অনেক সহ্য-ধৈর্য প্রত্যাশা করি।
প্রসঙ্গত, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি গত ২৫ এপ্রিল নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে কর্মস্থলে পাননি। অনুপস্থিত কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিন্তু তারা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনার পর মাশরাফির সমালোচনা করে অশালীন ভাষায় পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ৮ মে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ৬ চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনের পর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম সরেজিমনে পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি চমেকের শাহআলম বীরউত্তম মিলনায়তনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখা এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর