বাংলাধারা ডেস্ক »
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে গৃহবধুর মুখে এসিড নিক্ষেপ কারী ও ধর্ষন মামলার আসামি কাজল পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) ভোররাতে গাংনীর গাড়াডোব-আমঝুপি সড়কের একটি বাঁশবাগানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যাক্তি গাংনী উপজেলার গাড়াডোবা গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে ইয়াকুব আলী কাজল (৩০)।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারেন্দ্রণাথ সরকার জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গৃহবধুকে এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামী ইয়াকুব আলী কাজলকে বৃহস্পতিবার রাতে গাংনী উপজেলার ধলা গ্রাম থেকে আটক করা হয়।, কাজলের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি ধর্ষন মামলা রয়েছে। পুলিশের হাতে আটক থেকে রক্ষা পেতে সে ধলা গ্রামে আত্মগোপনে ছিল।
গত বৃহস্পতিবার গাংনী উপজেলা থেকে দুই মামলার আসামি কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওসি জানান, পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে কাজলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার ধলা গ্রামে পৌঁছলে কাজলের সহযোগীরা পুলিশের দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে, আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কাজলের শরীরে দুটি বুলেট বিদ্ধ হয়। পরে রাত পৌনে ৫টার দিকে কাজলকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য , গত বছরের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাডাডোব গ্রামের ছাত্রীকে অপহরণ পূর্বক গণধর্ষণ করে কাজলসহ কয়েকজন। ওই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার প্রধান আসামি হচ্ছে ইয়াকুব আলী কাজল। ঘটনার পর তারা আত্মগোপন করে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে গৃহবধূ পুকুর থেকে গোসল করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রসিকতার ছলে পানি জাতীয় কিছু তার মুখ ও শরীরে ঢেলে দেয় কাজল। বিষয়টি প্রথম টের না পেলেও পরবর্তীতের এসিডের প্রতিক্রিয়া শুরু হলে গৃহবধূ ও তার পরিবার গোপন রেখেই পুলিশে জানায়। রাতেই কাজলকে আটক করা হয়।
গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ‘যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময় কাজল আমাকে লক্ষ্য করতো। সে আমাকে খুব পছন্দ করে এমন কথাবার্তা বলতো। আমি প্রতিবাদ করায় সে আমাকে এসিডে পুড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি