spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
প্রচ্ছদঅন্যান্যঝরেপড়াদের পড়ার ‍সুযোগ করে দিচ্ছে ‘সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্প’

ঝরেপড়াদের পড়ার ‍সুযোগ করে দিচ্ছে ‘সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্প’

spot_img

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা এবং সবার জন্য আজীবন শেখার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার ।

রবিবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৮ টায় চট্টগ্রামে ঘাসফুল সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের  কর্ম এলাকা ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ী গণকল্যাণ আশার আলো শিশু শিখন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) শামস আল মোজাদ্দিদ। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন – প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরেপড়া শিশু কিশোরদের  শিক্ষার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে চট্টগ্রামে কাজ করছে সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্প। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা এবং সবার জন্য আজীবন শেখার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরেপড়া শিশুদের মূলধারায় সাথে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান । পিছিয়ে থাকবেনা কোন শিশুই, শিক্ষার সাথে সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করে কাজ করছে সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মটিনরিং) মোঃ দেলোয়ার হোসেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো চট্টগ্রাম জেলার সহকারি পরিচালক মোঃ জুলফিকার আমিন, সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্প ঘাসফুল’র  ফিল্ড কো-আর্ডিনেটর সিরাজুল ইসলাম, ট্রেইনার জোবায়দুর রশীদ প্রোগ্রাম  সুপারভাইজার গুলশান আরা ও শিক্ষিকা বকুল আক্তার প্রমুখ।

প্রকল্পটি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো‘র মাধ্যমে বেসরকারী  উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল ১৪২টি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪২৬৮জন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান করছে সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের মাধ্যমে। 

এ প্রকল্পটির নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতিতে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য উদ্যেশ্যপূর্ণ এবং নিয়মমাফিক শিখন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরেপড়া শিশু কিশোরদের  সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের  মাধ্যমে  শিক্ষার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত সুযোগ তৈরী হবে। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বিগত তিন দশকে বাংলাদেশের অর্জন উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শত ভাগের কাছাকাছি।

শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে সকল শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক, অবৈতনিক এবং একই মানের। এছাড়া ৫+ শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে শিশুবান্ধব শিখনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং এটিকে আরো জোরদার করা হয়েছে। এতদসত্তেও প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শিশুদের ঝরে পড়ার হার এখনও প্রায় ২১%। দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষা বঞ্চনার হার ২৭% যা ধনী পরিবারের শিশুদের প্রায় দ্বিগুণ।

ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ৬.৬ মিলিয়ন শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছে (২৬.৮%)। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে প্রতি ৪ জনে ১ জন শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে। এসব শিশুর অধিকাংশই সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। ভর্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন থাকা সত্তে¡ও ঝরে পড়া রোধ এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন ছাড়া ‘সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ