spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদবৃহত্তর চট্টগ্রামকক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত-৩

কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত-৩

spot_img

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজার ও টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিনগত রাতে বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, কক্সবাজারে নিহত সৈয়দুল মোস্তফা ওরফে ভুলু ইয়াবা ব্যবসায়ী ও গডফাদার এবং টেকনাফে নিহত দুই রোহিঙ্গা মানবপাচারকারী।

কক্সবাজার মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীতে ইয়াবা ব্যবসায়ী সৈয়দুল মোস্তফা ভুলু বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এসময় ৪শ’ পিস ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ২টি তাজা কার্তুজ ও ৬টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। ভুলু কক্সবাজার পৌরসভার পাহাড়তলির মাদক সম্রাট হাজী জহির আহাম্মদের ছেলে। ভুলুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টির অধিক মামলা রয়েছে। আর তার বাবা জহির আহম্মদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দুই ডজনের মতো মামলা রয়েছে।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ভুলুকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে রাতে এলাকায় যায় পুলিশ। পাহাড়তলী এলাকায় তার আস্তানায় গেলে তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্যকরে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টাগুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর তারা পিছু হটে। তখন ঘটনা স্থলে ভুলুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থল হতে ৪০০ পিস ইয়াবা, ২টি তাজা ও ৬টি খালি কার্তুজ এবং একটি এলজি উদ্ধার করা হয়। ভুলুকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, পাহাড়ঘেরা পাহাড়তলীর মাদক ব্যবসায়িদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গত কয়েকদিন আগে উক্ত এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ি আজিমকে গ্রেফতার করা হয়। আর সোমবার পুলিশের জালে আসে ভুলু। জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার সব কিছু স্বীকার করে ভুলু। তার সহযোগী ও সুবিধাভোগকারি এবং অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ির নাম, ঠিকানা সহ ব্যবসার পরিধি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। ভুলুকে নিয়ে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভুলু মারা যায়। এ ঘটনায় পৃথক মামলা হচ্ছে।

অপরদিকে, টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মানবপাচারকারী নিহত হয়েছেন। ভোররাতে কক্সবাজার-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ (২২) ও উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত রহিম আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫২)।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাপলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে অভিযান চালায় পুলিশ সদস্যরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা দুই মানবপাচারকারী নিহত হন। আহত হয়েছেন পুলিশের এএসআইসহ চারজন। এ সময় ঘটনাস্থল কাছ থেকে দু’টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ