spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদবৃহত্তর চট্টগ্রাম২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার

২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার

spot_img

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

প্রযুক্তি এখন অনেকদূর এগিয়ে গেছে তা কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার কারিকুরি যন্ত্র দেখলেই বোঝা যায়। পাকা ধান এই যন্ত্র দিয়ে সরাসরি ক্ষেত থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে। অর্থাৎ ধান কাটা, মাড়াই করা, বস্তা ভরার কোন ঝামেলাই নেই। সব কাজ এই যন্ত্রই করে দেবে। এই যন্ত্রটির দাম সাত লাখেরও কিছু বেশি। এই দামের অর্ধেক সরকার ভর্তুকি দেয়, বাকিটা যে বা যারা কিনবেন তাদের পরিশোধ করতে হবে।

এত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকরা পাচ্ছেন না ধানের ন্যায্যমূল্য। হতাশায় দিন কাটছে কৃষকদের। এমতাবস্থায় সরকার কেজি প্রতি ২৬ টাকা দরে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনবেন এমন খবর পৌছে কৃষকদের মনে আশার আলো সঞ্চার করলেন ইউএনও।

বুধবার (১৫ মে) হাটহাজারী উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে ‘কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার প্রদর্শণী ও মাঠ দিবসের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন ইউএনও। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের কারিকুরি প্রযুক্তি দেখেন এবং কৃষকদের সাথে মত-বিনিময় করেন। আলোচনার শুরুতে এক কৃষক ইউএনওকে অভিযোগ করে বলেন, প্রতি কেজি ১০ টাকা করে ধান বিক্রি করলে আমাদের লাভ হয় না।

ইউএনও অবাক হয়ে বলেন, সরকার যে ধান কিনবে আপনারা তো খবর পেয়েছেন নিশ্চয়ই। সরকার তো প্রতি কেজি ধান কিনবে ২৬ টাকা দরে। সেই হিসেবে আপনার ১০ কেজির দাম পড়ে ২৬০ টাকা, ১০০ টাকা ত নয়ই। আর সরকার ধান কিনবে সেটা বলার জন্যই তো আপনার কাছে এসেছি।

ইউএনও’র এমন বক্তব্যে কৃষক নিজেও অবাক হলেন এবং বুঝলেন মধ্যস্বত্বভোগীর দলই এখানে সক্রিয়। ১০ কেজি ধানের দাম ২৬০ টাকা এই তথ্য জানার পর তাদের মুখের ভাব প্রসন্ন হলো এবং বললেন ২৬০ টাকা হলে ঠিক আছে।

রুহুল আমিন বাংলাধাকে বলেন, হাটহাজারী উপজেলা খাদ্য বিভাগ ১০৭ টন ধান সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ক্রয় করবে আগামী আগস্ট পর্যন্ত। একজন কৃষক একসাথে ৩ টন পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবে। যদি উপজেলা কৃষি অফিসার এই মর্মে প্রত্যয়ন দেন যে, কোনো একজন কৃষকের উৎপাদন বেশি তাহলে সে আরও সমপরিমাণ ধান বিক্রি করতে পারবে। ধান বিক্রয়কারী কৃষক কে কৃষি কার্ডধারী হতে হবে। কৃষকরা বিস্তারিত জানতে উপজেলা খাদ্য অফিসারের নিকট যোগাযোগ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, বিনা পরিশ্রমে অন্যের রক্ত ঘাম করে উপার্জিত সম্পদের একটা অংশ চাতুরী করে নিয়ে রাতারাতি ধনী যারা হন তারাই হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী। মধ্যস্বত্বভোগীরা শুধু যে ব্যক্তি বা সমাজের জন্যই ক্ষতিকর তা না, তারা সরকারের ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হবার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ