spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
প্রচ্ছদমতামতরাসবিহারী বসু : জাপান প্রবাসী এক বিপ্লবী বাঙালির জীবন

রাসবিহারী বসু : জাপান প্রবাসী এক বিপ্লবী বাঙালির জীবন

spot_img

ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম »

বাংলা ও বাঙালির প্রতি জাপানের অপরিসীম ভালোবাসার পেছনে কয়েকজন বাঙালির নাম খুবই উল্লেখযোগ্য। বিশ শতকের জাপানের ইতিহাসে যেসব বাঙালির নাম গর্বসহকারে উচ্চারিত হয় তাঁদের মধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাড়াও আরও ছিলেন রাসবিহারী বসু, হরিপ্রভা মল্লিক, হেরম্বলাল গুপ্ত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। বাঙালির প্রতি জাপানিদের অপরিসীম ভালোবাসার কারণটা কিন্তু অনেকটাই রাজনৈতিক। সেটা হলো সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের রুখে দাঁড়ানো।

তবে শুরুটা হয়েছিল সেই বৃটিশ শাসনামলে, পরাধীন ভারতবর্ষে। তখন এদেশের বিপ্লবীদের পছন্দের জায়গা ছিল জাপান। ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামের বিচরণক্ষেত্র হিসেবে জাপানকে তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন। তবে এই সকল বিপ্লবীরা রাজনৈতিক কারণে জাপানে অবস্থান করলেও জাপানের সামাজিক সাংস্কৃতিক জীবনে তাঁরা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই কারণে তাঁদের স্মৃতি আজো জাপানের সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাসে স্মারক হয়ে আছে।

আজ আমরা এই বিপ্লবীদের অগ্রনায়কদের একজনের কথা বলবো, তিনি হলেন রাসবিহারী বসু। পরাধীন ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার স্বপ্ন যারা দেখেছিলেন, তিনি তাঁদের একজন। ১৮৮৬ সালের মে মাসে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমানে জন্মগ্রহণকারী রাসবিহারী বসু স্কুল জীবন থেকেই ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করে আসছিলেন। স্বাধীনতাকামী রাসবিহারী বসু ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। দিল্লিতে গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ এর ওপর এক বোমা হামলার নেতৃত্ব দানের কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে।

ব্রিটিশদের নজর এড়ানোর জন্য রাসবিহারী বসু ১৯২৩ সালে জাপানে চলে যান। ১৯৪৫ সালের ২১ জানুয়ারি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত জাপানেই ছিলেন। বিপ্লবী রাস বিহারী বসু জাপানে গিয়ে ভারতের সাম্র্যাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণা যোগাতে থাকেন। রাসবিহারী বসুর প্রারম্ভিক সাংগঠনিক শ্রমের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সময়ে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন।

রাস বিহারী বসুর উদ্দেশ্য ছিল জাপানের সহায়তায় ভারত থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অপসারণ করে দেশকে ঔপনিবেশিক শাসনজাল থেকে মুক্ত করা। রাসবিহারী বসুকে জাপান সরকার সম্মানসূচক ‘Second Order of the Merit of the Rising Sun’ খেতাবে ভূষিত করে।

রাসবিহারী বসুর এই স্বীকৃতি অর্জন করতে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা করতে হয়েছে। একজন পালিয়ে থাকা বিপ্লবী মানুষকে কঠোর সাধনা করতে হয়েছে। তাঁর সাধনার দ্বারা প্রথমেই তিনি জাপানের রাজনীতিবিদদের সহায়তা লাভ করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- তোয়ামা মিৎসুর, কুজো য়োশিহিসা, উচিদা রিয়োহেই ও সুগিয়ামা শিগেমারু প্রমুখ রাজনীতিবিদগণ। এসব রাজনীতিবিদরা এশিয়াবাদী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

রাসবিহারী বসু উপলব্ধি করতে সক্ষম হন, ভারতের প্রতি জাপানের মনোভাব পরিবর্তন করতে হলে ও জাপানি জনসাধারণকে ভারতের প্রতি আকৃষ্ট করতে হলে জাপানি ভাষায় ভারতের কৃষ্টি ও ইতিহাস জাপানিদের জানাতে হবে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ কীভাবে ভারতের জনগণকে লাঞ্ছিত ও লুন্ঠিত করছে তাও জাপানে প্রচার করতে হবে। এ বিষয়ে রাসবিহারী বসু সার্থক হয়েছিলেন।

তাঁর জীবনী রচয়িতা বিজন বিহারী বসু লিখেছেন, ‘তিনি এই ভাষায় এতদূর পারদর্শিতা লাভ করেছিলেন যে, জাপানি জনসাধারণ তাঁহার ভারত বিষয়ক বক্তৃতা শুনিবার জন্য বহুদূর হইতে টোকিওতে সমবেত হইতেন।… পরবর্তীকালে রাসবিহারী টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত ও এশিয়ার ইতিহাসের অধ্যাপক নিযুক্ত হন ও বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ সভার সভ্য নিযুক্ত হন। রাসবিহারী বসু শিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর ছাত্রদের সাথে তিনি সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

জেন ইচি সুজুকি তাঁর শিক্ষক রাসবিহারী সম্পর্কে বলেন, “When I was a student of Kokuhikan school at Setagaya, Tokyo, the late Mr Rashbehari Bose was our teacher and after I graduated from the above school, I had continually received his kind advice and teaching up to the time of his death. It is sad that he died without seeing the accomplishment of Independence of his Fatherland-India. Under the influence of his instructions and his teachings, I am proud that I have been able to devote myself to the national movement of Asia and Japan for 35 years until today.

ভারতীয় সভ্যতা সম্পর্কে জাপানিদের আগ্রহের বিষয়টি লক্ষ্য করে রাসবিহারী বসু জাপানি ভাষায় অনেক বই রচনা করেন। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এশিয়ার বিপ্লবের চলচ্চিত্র (১৯২৯) ভারতের হাস্য পরিহাস (১৯৩০) , উৎপীড়িত ভারত (১৯৩৩), ভারতের জন কাহিনী (১৯৩৫) বিপ্লবী ভারত (১৯৩৫), নব এশিয়ার জয় (১৯৩৭), ভারতের দাবী (১৯৩৮),ভারতের করুণ ইতিহাস (১৯৪২), শেষের গান (রবীন্দ্রনাথের গানের অনুবাদ) (১৯৪৩) বসুর আবেদন (১৯৪৩) ইত্যাদি।

শুরুর দিকে রাসবিহারী বসু যখন জাপান গমন করেন, তখন তাঁকে লুকিয়ে বা আত্মগোপনে থাকতে হতো। কেননা ব্রিটিশরা রাসবিহারী বসুর প্রত্যর্পণের ব্যাপারে জাপান সরকারের ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করছিল। ফলে ১৯১৫-১৯১৮ সালের মধ্যে জাপানেও তাঁকে বহুবার পরিচয় এমন কি বাসস্থানও পরিবর্তন করতে হয়েছে। জাপানের দুঃসময়ের দিনগুলোতে রাসবিহারীকে সহযোগিতা করেছেন টোকিওর নাকামুরায়া বেকারির মালিক আইজো সোমা, কোকো সোমা। তাঁরা কতটা ভালোবাসতেন এবং কীভাবে রাসবিহারী বসুকে আগলিয়ে রেখেছিলেন সে প্রসঙ্গে কোকোর লেখায় বিস্তারিত জানা যায়। কোকো তাঁর নিজের বইয়ে লিখেছেন, ‘মাস চারেক পর রাসবিহারীর উপর থেকে নির্বাসনদত্ত উঠে গেল। ১৯১৬-র এপ্রিলের এক সকালে আমার ঘরে বিদায় জানাতে এলেন। তখন আমি শয্যাশায়ী। শরীর ও মন বিধ্বস্ত। রাসবিহারীকে লুকিয়ে রাখতে গিয়ে যে প্রবল মানসিক চাপ সহ্য করতে হয়েছিল তাতে আমার বুকের দুধ শুকিয়ে গিয়েছিল। দুধ না পেয়ে মারা গিয়েছিল আমার সদ্যোজাত কন্যা। তবু ওই ভারতীয় যুবার প্রতি বিন্দুমাত্র বিতৃষ্ণা আসেনি। উল্টে জানালা নিয়ে তাঁর চলে যাওয়া দেখে কান্না সামলাতে পারিনি। সে দিনই পণ করি, ভারতের আত্মার সঙ্গে যুক্ত হলাম আমরা এবং ভারতের এই বিপ্লবীকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করব।’

রাসবিহারী বসুর এই অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য জাপানের নাগরিকত্বের প্রয়োজন হয়। রাজনীতিবিদ তোয়ামা উপায় বের করলেন। তিনি নাকামুরায়া বেকারির মালিক দম্পতি আইজো সোমা ও কোকো সোমার কাছে তাদের মেয়ের সাথে রাসবিহারী বসুর বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। চমকপ্রদ এই ঘটনার বিবরণ লিখেছেন পারিজাত বন্দোপাধ্যায়। ‘প্রস্তাব শুনে স্তব্ধ হয়েছিলেন আইজো আর কোকো। তোশিকো তাঁদের আদরের মেয়ে, শিক্ষা, স্বভাব, রূপ, কোনও দিকেই কমতি নেই। জাপানের সেরা পাত্রদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যাওয়ার কথা তাঁকে বিয়ে করার জন্য। আর তাঁকে কি না তুলে দেবেন পুলিশের তাড়া খেয়ে বেড়ানো, এক কপর্দকশূন্য বিদেশি বিপ্লবীর হাতে। যে কোনও মুহূর্তে পুলিশের গুলিতে যাঁর মৃত্যু হতে পারে। বেঁচে থাকলেও পালিয়ে, লুকিয়ে বেড়াতে হবে। আবার রক্ষণশীল জাপানি সমাজে ভিন্ন জাতি বা ধর্মে বিয়েতে একঘরে হওয়ারও আশঙ্কা। কিন্তু তোয়ামার প্রস্তাব ফেরানো তাঁদের পক্ষে প্রায় অসাধ্য। আর রাসবিহারীও তাঁদের বড় কাছের। কী এক মায়ায় তাঁদের বেঁধে ফেলেছে এই ভারতীয় ছেলেটি।’ বাঁচানোর উপায় একটাই সেটা হলো বিয়ে।

অবশেষে বিয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অত্যন্ত অনাড়ম্বর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানের চিত্র তুলে ধরে পারিজাত বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘১৯১৮-র ৯ জুলাই তোশিকো- রাসবিহারীর গোপন বিয়ের সাক্ষী থাকলেন গুটিকয় মানুষ। জাঁকজমকে যে বিয়ের সাড়া ফেলার কথা, সেখানে বর বা কনে কোনও পক্ষের কোনও আত্মীয়-বন্ধু পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন না। কোকো তখনও শয্যাশায়ী। দোতলা থেকে দেখলেন, অতি সাধারণ পোশাকে তার মেয়ে চলেছেন বাবার হাত ধরে।’

রাসবিহারী বসু নতুন জীবন পেলেন। কিন্তু বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে না দিয়ে জাপানি বউকে বাংলা থেকে রান্না, শাড়ি পড়া সবই শিখালেন। তোশিকো সোমা হয়ে উঠলেন তোশিকো বসু। এই তোশিকা বসু পরবর্তী কালে জাপানে তিনি পরিচিত হয়েছিলেন ‘দ্য লিভিং ফ্লেশ শিল্ড টু দি ইন্ডিয়ান ইন এগজাইল’ নামে। রাসবিহারী বসু তাঁকে শুধু বাংলা ভাষা ছাড়াও বাঙালি ধাঁচে শাড়ি পরা, বাঙালি রান্না ইত্যাদি শিখিয়েছিলেন। বাঙালি রান্নাকে তিনি জাপানে জনপ্রিয় করেছিলেন। নাকামুরায়াতে খাবারের হোটেল চালু করেছিলেন। এখনো জাপানে নাকামুরায়া কারি অনেক জনপ্রিয়।

রাসবিহারী বসুর সাথে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগাযোগ ছিল অত্যন্ত নিবিড়। কবিগুরুর জাপান ভ্রমণকালে তাঁকে দারুণভাবে সম্মানিত করার দায়িত্ব নেন রাসবিহারী বসু। কবিগুরুর জাপান ভ্রমণের তৃতীয়বারে রাসবিহারী বসুর বাড়িতে পদার্পন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণবৃত্তান্তে উল্লেখ আছে, ‘৩১ শে মে কবি জাপানে গমন করেন এবং সেখানে আন্তর্জাতিক মিলন সম্বন্ধে কয়েকটি বক্তৃতা প্রদান করেন।’

বিশ শতাব্দীর প্রথম দশকেই একজন বাঙালি হিসেবে রাসবিহারী বসু জাপানে শুধু রাজনীতিবিদই নন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও তিনি জাপানে সমধিক পরিচিত হয়ে ওঠেন। হরিপ্রভা মল্লিক বা হরিপ্রভা তাকেদাকে নিয়ে ১৯৪১ সালে আজাদ হিন্দ ফৌজ রেডিওতে নেতাজী সুভাষ বসুর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাতে থাকেন।

পূর্ব এশিয়ার অন্য ভারতীয়দের চেয়ে তিনি জাপানিদের অনেক বেশি ভাল করে চিনতেন, জাপানি সামরিক ও রাজনৈতিক মহলে তাঁর প্রতিপত্তিও ছিল যথেষ্ট। রাসবিহারী বসুর কারণেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে-বার্মা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে বসবাসরত অনেক ভারতীয় তথা বাঙালির জীবন ও সম্মান রক্ষা পেয়েছিল। জাপানিদের সাথে রাসবিহারী বসুর চুক্তির ফলেই একাজ সম্ভব হয়েছিল।

আজাদ হিন্দ ফৌজের সামরিক কর্মকর্তা মেজর শাহনওয়াজ এ সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছেন, ‘… জাপানের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব এবং জাপানি ইম্পিরিয়াল জেনারেল স্টাফের অধ্যক্ষ ফিল্ড মার্শাল সুগিয়ামার সঙ্গে আগে থেকেই ভারতীয়দের সম্বন্ধে তিনি যে চুক্তি করেছিলেন তাতে তাঁর বিলক্ষণ দূরদর্শিতার পরিচয় পাওয়া যায়। এই চুক্তিতে স্বীকৃত হয়েছিল-জাপান অধিকৃত প্রদেশে ভারতীয়দের শত্রু-প্রজা বলে গণ্য করা হবে না এবং এই স্বীকৃতির ফলেই পূৰ্ব্ব এশিয়াবাসী সহস্র সহস্র ভারতবাসীর ধন, প্রাণ, সম্মান রক্ষা পেয়েছে। এইজন্য স্বদেশ-প্রেমিক রাসবিহারীর কাছে তারা চির কৃতজ্ঞ।’

বলা বাহুল্য নেতাজি সুভাষ বসুর জাপান আসার পটভূমি তৈরি করেছিলেন রাসবিহারী বসু। এই ইতিহাস আমরা অন্যদিন আলোচনা করব।
১৯৪৫ সালের ২১ জানুয়ারি এই মহান বিপ্লবী রাস বিহারী বসু টোকিওতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মহান এই বিপ্লবীর মৃত্যু বার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!

রাসবিহারী বসু এবং উন্মেষকালে জাপানে কৃতী বাঙালিদের ইতিহাস জানতে ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ- জাপান সম্পর্ক’ বইটি।

লেখক : অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাপস্টোন ফেলো (২০১৮), ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ