spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
প্রচ্ছদফিচারসৌন্দর্যের রাণী ‘প্রকৃতিকন্যা’র দেশে

সৌন্দর্যের রাণী ‘প্রকৃতিকন্যা’র দেশে

spot_img

শেখ বিবি কাউছার »

সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে ভরা সিলেট বিভাগ। দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটনকেন্দ্র ছড়িয়ে আছে এখানে। ৩৬০ আউলিয়ার পূর্ণভূমিতে কি নেই! সবুজে মোড়ানো পাহাড়ের কোলঘেঁষা পাথুরে নদী, ঝরনা, বন, চা-বাগান, নীল জলরাশির হাওর; কী নেই এখানে! সিলেটের এমন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য উপভোগ করতে দেশ-বিদেশের পর্যটক আর ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ভিড় জমান। সিলেটের অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম নয়নাভিরাম ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদের উৎসমুখে এর অবস্থান।

ভ্রমণনামার এ পর্বে থাকছে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর। এখানে এসেই মনে হলো প্রাকৃতিক পাথরের এক স্বর্গরাজ্য। ওপারের মেঘালয়ের চেড়াপুঞ্জি থেকে নেমে আসা জলের স্রোত আর নিচে সাদা পাথর। এসব ঘিরে এক অদ্ভুত সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সিলেটের ভোলাগঞ্জের জিরো পয়েন্টে। সাদা পাথর জায়গাটি কমবেশি সবার কাছে খুব পরিচিত। আর আপনি যদি ভ্রমণপিপাসু হয়ে থাকেন তাহলে তো কথাই নেই!

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান। সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ অবস্থিত। আর সেখানেই আছে সাদা পাথরের স্বর্গরাজ্য। ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে ‘সাদা পাথর’ নামক জায়গাটি।

নৌকায় যাওয়ার পথে নীল পানিতে ভেসে যেতে মজাই লাগে। পাশ দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলোর ভেসে যাওয়ার দৃশ্য মনে দাগ কাটবেই। সেখানে গিয়ে মনে হলো— অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় যাওয়ার মোক্ষম সময়। এসময়টাতে পানিও বেশি থাকে না। তখন বাচ্চাদের সাথে নিয়ে পাথরগুলোর উপর হাঁটতে ভালো লাগে। পাথরের উপর হাঁটতে হয় বলে এক্ষেত্রে সাথে অবশ্যই আরামদায়ক জুতো রাখতে হবে।

কীভাবে যাবেন
আমরা হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগা গেট থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে মাইক্রো ভাড়া করে গিয়েছিলাম ভোলাগঞ্জে। যাতায়াত ভাড়া নিয়েছিল ৩ হাজার টাকা। তবে এভাবেও যাওয়া যায়— সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ রুটে। ১২০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজারে নামাবে। টুকের বাজার থেকেই ট্রলারে চলে যেতে পারেন সাদা পাথর।

কোম্পানীগঞ্জ পৌঁছে টুকের বাজার ঘাট থেকে ট্রলারে সাদা পাথর পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগবে। যাওয়া-আসায় নৌকা ভাড়া পড়বে ১০-১২শ টাকা। এখানে নৌকা রিজার্ভ করে নিতে হয়, অন্যথায় ভুগতে হবে। তাই গ্রুপে গেলে খরচটা একটু কম পড়ে। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ সরাসরিও চলে যাওয়া যায়। ১০ মাইল নামক স্থান থেকে নৌকা নিলে ৫-৬শ টাকা ভাড়া পড়বে, এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে অটোরিকশায়। তবে এখানকার মূল সৌন্দর্য্য কেবল বর্ষাকালে মিলবে। শীতকালে নদীর পানি প্রবাহ কমে যায় বলে নৌকায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন সাদা পাথর এলাকায় যেতে হবে নদীর বুক দিয়ে পায়ে হেটে।

লেখক : প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, নোয়াপাড়া কলেজ, রাউজান, চট্টগ্রাম।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ