কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় পেকুয়ার উজানটিয়া ঘাট দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা কালে ৬২ রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষকে উদ্ধার করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। এসময় ৫ দালালকেও আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৮মে) ভোররাতের পৃথক সময়ে তাদের উদ্ধার ও আটক করা হয়। রোহিঙ্গাদের মাঝে অধিকাংশ নারী ও শিশু।
টেকনাফের সেন্টমার্টিন থেকে মালয়েশিয়া যাবার প্রস্তুতিকালে ১৭ রোহিঙ্গা নারী পুরুষদের আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় পাচারে জড়িত থাকায় ৫ জন দালালকেও আটক করতে সক্ষম হয়। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সেন্টমার্টিনের বঙ্গোপসাগর তীর হতে বোটের জন্য অপেক্ষামান অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।
সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড টেকনাফের স্টেশন কমান্ডার লে. ফয়েজুল ইসলাম মন্ডল জানান, গভীর রাতে ৭ নারী ও ১০ জন পুরুষ মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর জন্য সাগর তীরে অপেক্ষা করছিল। এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এসময় পাচারে জড়িত থাকায় পাঁচ দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত দালালরা কতুবদিয়া, মহেশখালী এবং রামু এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান লে. ফয়জুল।

অপরদিকে, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া জেটিঘাট থেকে নারী ও শিশুসহ ৪৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। দালালচক্রের একটি দল আটক রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জেটিঘাটে নামিয়ে দিয়ে সটকে পড়েছিল। খবর পেয়ে শনিবার ভোররাতে পেকুয়া থানার এসআই মকবুলের নেতৃত্বে পুলিশ করিমদাদ মিয়ার জেটিঘাট থেকে এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে জেটিঘাটে অনেক মানুষ দেখতে পেয়ে আমরা এগিয়ে যায়। তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে জানায়। তখন পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, ট্রলার যোগে সাগর পথে তারা মালয়েশিয়া যাওয়া জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আরো বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। তবে টলারটি জব্দ করতে পারিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানায় রোহিঙ্গা। উর্ধ্বতন মহলের সাথে আলোচনা করে তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর