spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদজাতীয়মাদারীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

মাদারীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

spot_img

বাংলাধারা ডেস্ক »

মাদারীপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে রুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নির্যাতিত স্কুলছাত্রীকে রোববার রাতেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে মোক্তার হোসেন নামে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লাকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

জানা গেছে, মাদারীপুর পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। কয়েকদিন আগে মোক্তারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এই সুযোগে রোববার রাতে পাশের ঘরের এক স্কুল ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডাকে মোক্তার। এ সময় দরজা বন্ধ করে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।

পরে পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন স্কুল ছাত্রীকে রুমের পেছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। এতে ওই স্কুল ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

নির্যাতিত স্কুলছাত্রী বলেন, ‘মোক্তার হোসেন আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে আমাকে সে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। এতে আমার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। এর আগে সে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে।’

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে ওই মেয়েকে নিয়ে থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে সে মেয়েটিকে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেয়। এতে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মফিজুল ইসলাম লেলিন জানান, মেয়েটির হাড় ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেরে উঠতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই মেয়ে সঙ্গে আমার কিছু হয়নি।’

বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করলে পুলিশ সুপার বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সহযোগিতা কেন নেননি জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) মো. বদরুল আলম মোল্লা বলেন, আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে এসেছি। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সকল আইনগত সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে এসেছি। যে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে তারও তদন্ত আমরা গুরুত্বসহকারে করছি। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ