বাংলাধারা ডেস্ক »
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি নার্সের ভুল ইনজেকশনে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ।
মঙ্গলবার ( ২১ মে ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ভুল ইনজেকশন পুশের শিকার মরিয়ম সুলতানা মুন্নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মোঃ মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান ওই নার্স।
শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ মোশারফ হোসেন বিশ্বাস জানান, পিত্ত থলির পাথর জনিত কারনে আমার মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মন্ডলের কাছে দেখানো হয়। তিনি গতকাল সোমবার (২০ মে) গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দেখ ভাল করেন ডাক্তার তপন কুমার মন্ডল।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওই শিক্ষার্থীর অপারেশন করার দিন ধার্য করা হয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতারে নার্স রাশিদা ওই ছাত্রিকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভূল করে অজ্ঞান করার ইনজেকশন পুশ করেন। এসময় ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হরিয়ে ফেলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের পরিচালক ডা.ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকায় রেফার করার ঘোষণা দেন।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের নার্স রাশিদার দেয়া ভুল ইনজেকশনের কারণে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনও তার জ্ঞান ফেনেনি। তবে তাকে বিকেলে সেখান থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে ।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, কি করে একজন সিনিয়র নার্স ভুল ইনজেকশন পুশ করলেন এটা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, রোগীটি যেন ভাল ট্রিটমেন্ট পায় সেজন্য খুলনায় রেফার করা হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি