কক্সবাজার প্রতিনিধি »
ইয়াবা পাচারের কৌশলের মতো এবার চোরের দল পাল্টাচ্ছে চুরির কৌশল। নারী পুরুষ ও শিশুর সমন্বয়ে করা চোর সিন্ডেকট ভিক্ষুক বেশে বাসা বাড়ীতে চুরি করছে। এতে ধরা পড়ায় উল্টো গৃহকর্তাকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকী দিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায় চোরের দল।
এমনটি ঘটেছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রবীণ সাংবাদিক ফরিদ দেওয়ানের বাসায়। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ঘটা এ ঘটনায় আটক কৌশলী চোরেরা হলো, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মধ্যম চরপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে আজবাহার (৩৫), ও তার বোন জোহরা পারভিন(৪০) এবং ১০ বছরের সুমি। সেও তাদের বোন বলে দাবী করেন অপর দু’নারী। অপর পুরুষ সদস্য হাতকাটা সিরাজ (৩০) পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়া খালী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
চট্টগ্রামের আজাদী ও আমাদের সময় পত্রিকার মহেশখালী প্রতিনিধি ফরিদুল আলম দেওয়ান জানান, সেহেরির পর নামাজ পড়ে বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। বেলা ১১টার দিকেও বাড়ি বয়স্ক কেউ জাগেনি। এ সময় ৪ সদস্যের চোরের দলের মহিলা সদস্যরা ভিক্ষুকের বেশে বাড়ীতে ঢুকে। বাড়িতে শিশুকে পেয়ে নলকূপের পানি পানের বাহানা করে।
তিনি বলেন, ছোট শিশুটি নলকূপে চলে গেলে বাড়ীর রুম থেকে ১টি স্যামসাং এন্ড্রয়েড ফোন ও ১টি রাইসকুকার নিয়ে বেরিয়ে দলের শিশু সদস্যকে দিয়ে রাস্তায় অপেক্ষমান পুরুষ সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দেয়। হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গলে ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে ভিক্ষুক বেশী দুই নারীকে আটক করে ফেলি। আর স্থানীয় জনতা রাস্তা থেকে পলায়ন পর পুরুষ ও ১০ বছরের শিশুটিকে আটক করে। তল্লাশী চালিয়ে চোরাইকৃত মোবাইলসহ বিভিন্ন বাসা বাড়ী থেকে চুরি করা আরো বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তাদের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তারা আমাকে (সাংবাদিক ফরিদকে) দুই দিনের মধ্যে মেরে ফেলার এবং আপত্তিকর অভিযোগ তুলে নারী নির্যাতন মামলা করারও হুমকী দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক হোয়ানক পুলিশ ক্যাম্পে অবহিত করে পুলিশী সহায়তায় ধৃত ৪ চোরকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, আটক চোরদের চকরিয়ার কোনাখালীর ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো. হোসেন সনাক্ত করে বলেন, আটককৃতরা পেশাদার দুধর্ষ চোর। পরে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর