সাতকানিয়া প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রতি রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু লুট হচ্ছে। ফলে নিজেদের গরু নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন খামারিরা। গত বুধবার দিবাগত রাতে আবারও চোরের দল গরু লুট করে নিয়ে গেছেন। এ সময় চোরের দলের ছুরিকাঘাতে এক পথচারী আহত হয়েছেন। উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের মাদারবাড়ি এলাকায় গরু-ছাগল লুটের ঘটনা ঘটে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কেঁওচিয়ার আমতল এলাকায় পাঁচটি গরু লুটের ঘটনা ঘটে। ওই সময় চোরের ছোড়া গুলিতে মো. নাছির উদ্দিন (৪২) নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চোরের দল কেঁওচিয়ার মাদারবাড়ি এলাকায় সোনা মিয়ার গোয়ালঘর থেকে দুটি গরু ও দিদারের বাড়ির একটি ঘর থেকে পাঁচটি ছাগল লুট করে। পরে তাঁরা ওই এলাকায় মোহাম্মদ আলীর মুদির দোকানের দরজা কেটে চাল, চিনি ও তেল নিয়ে যান। এ সময় রাস্তার মাথা এলাকার আড়তদার মোহাম্মদ নুরু হেঁটে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় চোরের দলের সামনে পড়েন। পরে চোরের দলের সদস্যরা তাঁর গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে পকেটের টাকা ছিনিয়ে নেন।
কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওচমান আলী বলেন, গত বুধবার দিবাগত রাতে মাইক্রোবাসে করে এসে একদল চোর মাদারবাড়ি এলাকা থেকে দুইটি গরু ও পাঁচটি ছাগল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় চোরের দলের সামনে পড়ে গেলে তাঁদের ছুরিকাঘাতে আড়তদার ব্যবসায়ী নুরু আহত হয়েছেন। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর আগের দিনও আমতল এলাকায় চোরের দল পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত বলেন, গরু চুরিসহ আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। গরু চুরি ঠেকাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। গরু চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।