বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীতে গ্রিল কেটে ব্যবসা পতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় জড়িত একটি চক্রের হোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ তেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইলসহ চুরির ঘটনায় ব্যবহার করা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দির রায়পুরা এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে মোঃ খোকন (২৮) ও তার সহযোগি একই থানাধীন মাধাইয়া বাজার এলাকার নাজমুল হোসেনের ছেলে মোঃ রুবেল (৩০)।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল কদমতলী এলাকায় শুকতারা টান্সপোর্ট অফিসে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা, ৬ ভরি ওজনের চারটি সোনার চেইন, তিনটি মোবাইল ও বিভিন্ন ব্যাংকের খালি চেক নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদরঘাট থানায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে।
তদন্তের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৮ মে) রাতে নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে খোকন ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে শনিবার (২৫মে) বিকেলে এক প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে জানায় পুলিশ ।
খোকন পুলিশকে জানায়, চুরির উদ্দেশ্যে খোকন, রুবেল ও তাদের অপর এক বন্ধু মিলে কদমতলী এলাকায় রিক্সা নিয়ে ঘুরাফেরা করছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে কদমতলী শুকতারা ট্রান্সপোর্টের অফিস বন্ধ করে লোকজন চলে গেলে তারা দেখতে পায় যে, শুকতারা ট্রান্সপোর্টের রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে খুব সহজেই ভিতরে প্রবেশ করা যাবে। সেই মোতাবেক আসামিরা পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী কদমতলী, শুকতারা ট্রান্সপোর্টে রাত অনুমান ১টার টার দিকে খোকন সেলেরেঞ্জ দিয়ে রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে। ঐ সময় রুবেল ও তার অপর বন্ধু শুকতারা ট্রান্সপোর্টের বাইরে অবস্থান করে। পরে একটি টেবিলের ড্রয়ার সেলেরেঞ্জ দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে ড্রয়ারের মধ্যে টাকা এবং দুটি স্বর্ণের চেইন ও তিনটি মোবাইল সেট পায়।
খোকন দ্রুত টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট নিয়ে একই পথে রান্না ঘরের জানালা দিয়ে বের হয়ে যায়। চুরি করার পর তারা যে যার মত করে চৌমুহনী মোড়ে গিয়ে একত্রিত হয়। চৌমুহনী মোড়ে গিয়ে তারা টাকা হিসাব করে দেখে যে, মোট ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। উক্ত টাকা থেকে খোকন ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা পায় এবং একটি স্বর্ণের চেইন ও দুটি সিম্ফনি মডেলের মোবাইল সেট পায়। খোকন টাকা, স্বর্ণ ও মোবাইল সেট নিয়ে পতেঙ্গা এলাকায় চলে যায়।
বাকি টাকা ও স্বর্ণের চেইন ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে যার যার মত চলে যায়। খোকন ভাগের চোরাইকৃত টাকার মধ্যে হইতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি জারা ব্র্যান্ডের মোটর সাইকেল কিনে। অবশিষ্ট টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পুলিশ খোকনের কাছ থেকে উদ্ধার করে। এছাড়াও চোরাই টাকা দিয়ে কেনা মোটর সাইকেল ও দুটি সিম্ফুনি মডেলের মোবাইল সেট পুলিশ খোকনের কাছ থেকে উদ্ধার করে।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, খোকন, রুবেল ও পলাতক থাকা তাদের এক সহযোগি গত ৫-৭ বছর ধরে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় গ্রিল কেটে শতাধিক বাসা বাড়ি-অফিস কক্ষে প্রবেশ করে চুরি করেছে। গত ৪-৫ মাস আগে মুরাদপুর আতুরার ডিপো এলাকায় একইভাবে গ্রিল কেটে চুরি করে। মুনসুরাবাদ এলাকার একটি গার্মেন্টসে একইভাবে গ্রিল কেটে নগদ টাকা চুরি করে তারা।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর