বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সিলেটের মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক তানভীর আলমকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ মে) ভোরে গোপন সংবাদের তাকে আটক করা হয়। সে সিলেটের জকিগঞ্জ তিল্লাকান্দি গ্রামের ময়নুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। পেশাগত কারণে বড়লেখার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁঠালতলী গ্রামে পরিবারসহ নিহত আবিদা সুলতানার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তানভীর। নিহত আবিদা সুলতানা বড়লেখার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁঠালতলী গ্রামের মৃত হাজি আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন বোনের মধ্যে আবিদা সবার বড়। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে থাকতেন।পরিবারে সবার সঙ্গে ইফতার করবেন বলে রোববার (২৬ মে) বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে বাড়িতে ইফতারি নিয়ে আসেন আবিদা। রাত ১০টার দিকে ভাড়াটিয়ার বাসায় গেলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। একপর্যায়ে সেখানেই আবিদাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই হত্যায় জড়িত ইমাম তানভীর আলম পালিয়ে যান। রাতেই তানভীরের মা ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের পরিবার আরো জানায়, আবিদার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিষয়টি সামনে রেখেও তদন্ত করছে পুলিশ।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক বলেন, নিহতের মাথায়, গলার বাম পাশে ও থুঁতনিতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ও মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে এখনো মামলা দায়ের হয়নি। পুলিশ ঘটনার পর থেকেই আসামিদের ধরতে মাঠে নেমেছে। রাতের মধ্যেই জড়িত অন্যদের আটক সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।
এদিকে, সোমবার (২৭ মে) দুপুরে অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা হত্যাকাণ্ডে খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। মৌলভীবাজার জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম আজাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রমাকান্ত দাশ গুপ্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, রাধাপদ দেব সজল, ডাডলী প্রেন্ট্রেস, তপন পাল তপু, অ্যাডভোকেট আলতাফুর রহমান সুমন প্রমুখ।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম