spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদলীড৬৭ হাজার ভোট পেয়ে এমপি হলেন নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ

৬৭ হাজার ভোট পেয়ে এমপি হলেন নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ

spot_img

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট।

জানা গেছে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ (মোমবাতি) পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সোয়া আটটার দিকে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নির্বাচনি ফলাফল সংগ্রহ ও তথ্য পরিবেশ কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ফল ঘোষণা করেন।

একতারা প্রতীকের প্রার্থী মীর মোহাম্মদ রমজান আলী পেয়েছেন ৪৮০ ভোট, আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা ৬৭৩ ভোট এবং চেয়ার প্রতীকে সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ১ হাজার ৮৬০ ভোট।

ফল ঘোষণার সময় জিমনেশিয়ামে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুলসহ নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকলেও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা।

ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, ‘অভিযোগ গ্রহণ করার পরও রিটার্নিং অফিসার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। রিটার্নিং অফিসারের এ ব্যর্থতা এ নির্বাচনকে কুলষিত করেছে। নির্বাচন কার্যক্রমকে অকার্যকর করেছে। সরকার এ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট আন্তরিক ছিল। তাই এ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি।

সেহাব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এ আসনের নগরে শতকরা ২-৩ ভাগ ও বোয়ালখালী অংশে ৫-৭ ভাগ ভোটারও ভোট কেন্দ্রে যায়নি। সুতরাং এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।

অপরদিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা বলেন, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমি নির্বাচন বর্জন করিনি। এ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

এ আসনে ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯৫২ জন। কেন্দ্র ছিল ১৯০টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। তিনিও নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ